[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বৃন্দাবন কলেজের রজতজয়ন্তীতে উন্মুক্ত মঞ্চে জুতা–বোতল নিক্ষেপ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে চরম বিশৃঙ্খলার মধ্যে। শনিবার সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলাকালে মঞ্চে জুতা ও বোতল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় হট্টগোল শুরু হলে অনুষ্ঠানের প্রধান আকর্ষণ ব্যান্ড দল ‘লালন’ মাত্র দুটি গান গেয়ে মঞ্চ ছাড়তে বাধ্য হয়।

দর্শকেরা জানান, অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে হট্টগোল শুরু হয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে পুরো অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়। বিশৃঙ্খলার ভিডিও ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।

শনিবার দিনভর কলেজ ক্যাম্পাসে পুনর্মিলনী উপলক্ষে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। তবে সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে জালাল স্টেডিয়ামে স্থানীয় সংগীতশিল্পী বাঁধন মোদক মঞ্চে উঠলে দর্শকেরা হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা মঞ্চের সামনের বাঁশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। মঞ্চ থেকে বারবার অনুরোধ করা হলেও কেউ তা শোনেননি। পরে ব্যান্ড দল ‘লালন’ মঞ্চে উঠলে বিশৃঙ্খলা আরও বাড়ে। ফলে তারা দুটি গান গেয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্বেচ্ছাসেবকেরা দর্শকদের ওপর লাঠিচার্জ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দর্শকেরা দ্রুত দৌড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, এতে পদদলিত হয়ে কয়েকজন আহত হন। এ সময় রাস্তায় বহু জুতা পড়ে থাকতে দেখা যায়।

অনুষ্ঠান দেখতে আসা কয়েকজন নারী অভিযোগ করেন, এমন অব্যবস্থাপনার কারণে তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছেন। তাঁদের ভাষায়, একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে এমন বিশৃঙ্খলা অপ্রত্যাশিত।

রজতজয়ন্তী ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের এক আয়োজক জানান, হবিগঞ্জের এক স্থানীয় শিল্পীর পরামর্শে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। তবে তাঁর মতে, অনুষ্ঠানটি শুধু ব্যবস্থাপনা বিভাগ বা সর্বোচ্চ কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য সীমিত রাখাই ঠিক ছিল। তিনি মনে করেন, অনুষ্ঠানকে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টাও এ বিশৃঙ্খলার জন্য কিছুটা দায়ী।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক রাজীব আহমেদ রিংগনের সঙ্গে এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি এ কে এম শাহাবুদ্দিন শাহীন বলেন, 'পরিস্থিতি শান্ত রাখতে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা নেয়। দৌড়াদৌড়ির সময় যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওসি আরও জানান, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।' 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন