[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্তির সিদ্ধান্ত

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সুপ্রিম কোর্ট | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা জজ, যুগ্ম জেলা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা জজ এবং অতিরিক্ত জেলা জজ থেকে জেলা জজ—অধস্তন আদালতের প্রায় এক হাজার বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। তাঁদের মধ্যে প্রায় ৩০০ জন অতিরিক্ত জেলা জজকে জেলা জজ পদে পদোন্নতির প্যানেলে অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব অনুমোদন করেছে সুপ্রিম কোর্টের ফুল কোর্ট সভা। সভাসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিদের অংশগ্রহণে ফুল কোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। সুপ্রিম কোর্টের কনফারেন্স রুমে বেলা তিনটা থেকে পৌনে পাঁচটা পর্যন্ত সভাটি চলে বলে জানা গেছে।

সভাসংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ থেকে জেলা ও দায়রা জজ পদে ৩৪৫ জনকে পদোন্নতির প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব ছিল। এর মধ্যে ২৬৫ জনের প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। এ ছাড়া যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ থেকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজ থেকে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ—এই দুটি পর্যায়ে সাত শতাধিক বিচারককে পদোন্নতির প্যানেলে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭-এর তৎকালীন বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোছা. কামরুন্নাহারের বিষয়টি সভায় আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। সভাসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, প্রশাসনিক আদেশে তাঁর বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল, তবে রিভিউর পর সেই সিদ্ধান্ত স্থগিত হয়েছে। সভায় আলোচনা শেষে বিষয়টি প্রশাসনিক দিক থেকে খতিয়ে দেখতে জিএ কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। এ কমিটি বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন, ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পর যেন ধর্ষণের মামলা না নেওয়া হয়। এরপর সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের সঙ্গে পরামর্শ করে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তাঁকে আদালতে না বসার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁর বিচারিক ক্ষমতা সাময়িকভাবে প্রত্যাহার করে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। পরে তাঁকে আইন ও বিচার বিভাগে সংযুক্ত করা হয়।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন