[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

লন্ডনে বাংলাদেশ সেন্টারের সভা ডেকে নাজেহাল হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম

প্রকাশঃ
অ+ অ-
গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ সেন্টারে কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের সভা ডেকে হট্টগোলের মুখে পড়েন হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

যুক্তরাজ্যপ্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐতিহাসিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেন্টারের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এই বিরোধের মাঝেই সোমবার সন্ধ্যায় উত্তর লন্ডনের কেনসিংটনে সেন্টারের নিজস্ব ভবনে কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের সভা ডাকেন লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার ও সেন্টারের চেয়ারম্যান আবিদা ইসলাম। তবে সভাস্থলে পৌঁছেই তিনি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বাংলাদেশ সেন্টারে প্রবেশ করতেই আবিদা ইসলামের সঙ্গে কথা–কাটাকাটি শুরু করেন সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আহমেদসহ বর্তমান কমিটির কয়েকজন নেতা।

হাইকমিশনার সভায় গণমাধ্যমের উপস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাকর হয়ে ওঠে। হট্টগোলের কারণে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও বক্তব্য দিতে না পেরে সেন্টার ছেড়ে বেরিয়ে আসেন তিনি। এ সময় তাঁর সঙ্গে আসা হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ারের অনুসারীদের তর্ক-বিতর্ক হয়।

দেলোয়ারের অনুসারীরা অভিযোগ করেন, হাইকমিশনে নবনিযুক্ত এক কর্মকর্তা (ডেপুটি হাইকমিশনার) দেশে গেলে ‘দেখে নেওয়া হবে’ বলে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার প্রায় ২০ মিনিট পর ব্রিটিশ পুলিশের একটি দল এসে পরিস্থিতি শান্ত করলে হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম আবার সেন্টারে ফিরে আসেন এবং দেলোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য শোনেন।

তবে এ বিষয়ে হাইকমিশনের আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার লন্ডনের স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় হাইকমিশনের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে। সেখানে এসব বিষয়ে পরিষ্কার ব্যাখ্যা দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত কমিটি। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই হাইকমিশনার কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের সভা ডাকেন। তিনি বাংলাদেশ সেন্টারের চেয়ারম্যান হলেও গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর কোনো ভোটাধিকার নেই। গতকালের সভা যাতে না হয়, সে ব্যবস্থাই আমরা নিয়েছি।’

দেলোয়ার আরও বলেন, ২৬ নভেম্বর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সেন্টারের এক সাধারণ সভায় সাধারণ সদস্যরা কণ্ঠভোটে কমিটির মেয়াদ এক বছর বাড়িয়েছেন। তাই এখন হাইকমিশনারের কথায় কোনো নির্বাচন নয়, বরং তাঁরা দ্রুত কাউন্সিল অব ম্যানেজমেন্টের সভা ডেকে পরবর্তী করণীয় ও গঠনতন্ত্র সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেবেন। এরপর নির্বাচন হবে।

এদিকে অপর পক্ষের নেতা অধ্যাপক শহীদুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকালের ঘটনার নিন্দা জানানো হয়েছে। এতে দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজনকে দায়ী করা হয়েছে।

ঘটনার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম বলেন, ‘বিব্রতকর পরিস্থিতির কারণে আমি সেন্টার ছেড়ে গেলেও দায়িত্বের জায়গা থেকে আবার ফিরে এসেছি। বাংলাদেশ সেন্টার নিয়ে যে বিভেদ তৈরি হয়েছে, তা দ্রুত সমাধানে সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। ২৬ নভেম্বর বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তাই সেন্টারে নতুন নির্বাচন আয়োজন জরুরি।’

আবিদা ইসলাম আরও বলেন, ‘গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে সব পক্ষই ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমি আশা করি।’

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন