[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শহিদুলকে প্রার্থী করার দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ চতুর্থ দিনে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সাতক্ষীরা-৩ আসনে বিএনপি নেতা শহিদুল আলমকে মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। বৃহস্পতিবার বিকেলে আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

সাতক্ষীরা-৩ (কালীগঞ্জ-আশাশুনি) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন করে দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে তাঁর অনুসারী নেতা-কর্মীরা টানা চতুর্থ দিন বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটায় আশাশুনি বাসস্ট্যান্ড মোড়ে আশাশুনি-বড়দল সড়কে সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে আশাশুনি উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের সাধারণ মানুষও অংশ নেন। সমাবেশ চলাকালীন আশাশুনি বাজার এলাকায় প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে।

গত সোমবার গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৩৭টি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। এতে সাতক্ষীরা-৩ আসনে মনোনয়ন পান কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দীন। এই আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন বিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবের নেতা শহিদুল আলম।

মনোনয়ন ঘোষণার দিন থেকে, সোমবার, মঙ্গলবার ও বুধবার কালীগঞ্জ ও আশাশুনির বিভিন্ন এলাকায় শহিদুল আলমের অনুসারীরা সড়ক অবরোধ, আধা বেলা হরতাল এবং কুশপুত্তলিকা দাহের মতো কর্মসূচি পালন করেছেন।

আজকের সমাবেশে আশাশুনি সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি আবু হেনা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদুজ্জামান, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সরদার রুহুল আমিন, বিএনপি নেতা আজহারুল ইসলাম, এস এম আখতারুজ্জামান, মনিরুজ্জামান, রাফসান আহমেদ, ইলিয়াস আলী, করিমুজ্জামান, জাকির হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, হাফিজুল ইসলাম, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, তৃণমূলের মতামত না নিয়েই সাতক্ষীরা-৩ আসনে কাজী আলাউদ্দীনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তারা বলেন, তিনি আগে জাতীয় পার্টির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং গত ১৭ বছরে এক দিনও আশাশুনিতে আসেননি। কখনো স্থানীয় নেতা-কর্মীদের পাশে দাঁড়াননি এবং এলাকার মানুষের খোঁজও নেননি। আশাশুনির মানুষ তাঁকে চেনেন না।

তাদের মতে, শহিদুল আলম শুধু একজন রাজনীতিক নন, তিনি এলাকার গরিব মানুষের নির্ভরতার প্রতীক। নিজের উদ্যোগে অসহায় রোগীদের বিনা খরচে চিকিৎসা দিয়ে তিনি সবার প্রিয় হয়ে উঠেছেন। আশাশুনির মানুষ তাঁকেই প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চায়।

সমাবেশ থেকে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবিতে এক দফা আলটিমেটাম দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজী আলাউদ্দীনের মনোনয়ন বাতিল করে শহিদুল আলমকে মনোনয়ন দিতে হবে। অন্যথায় আশাশুনি থেকে ঢাকার উদ্দেশে লংমার্চ শুরু করা হবে। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি চলবে বলে সমাবেশে জানানো হয়।

বিক্ষোভের সময় নেতা-কর্মীদের হাতে দেখা যায় ‘গরিবের ডাক্তারকে চাই’, ‘হটাও কাজী, বাঁচাও ধানের শীষ’, ‘আশাশুনির মাটি, শহিদুল আলমের খাঁটি’ ইত্যাদি ফেস্টুন। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন