[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সেন্ট মার্টিন রুটে চলাচলকারী জাহাজ | ফাইল ছবি

দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে প্রথম দিনে কোনো জাহাজ দ্বীপে না যাওয়ায় পর্যটকরা সেন্ট মার্টিন যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক দ্বীপে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ কম থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানিয়েছে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।

রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে একই দিন ফিরে আসা কষ্টসাধ্য। তাই জাহাজমালিকরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা কার্যকর বা লাভজনক নয়।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের বিষয়। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।

শাহিদুল আলম জানান, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চললেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাবে।

সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে দিলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা লাগে। ফলে পর্যটকরা কিছুই ঘুরে দেখার সময় পান না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা কষ্টসাধ্য এবং ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এজন্য অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।

হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতের থাকার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকরা রাতের সৈকত দেখতে এবং ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটিই সেন্ট মার্টিনের মূল আকর্ষণ।

পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন