বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রিমান্ডে
![]() |
| ধর্ম অবমাননার অভিযোগে বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্তকে আদালত থেকে কারাগারে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে করা রাজধানীর চকবাজার থানার মামলায় বুয়েট শিক্ষার্থী শ্রীশান্ত রায়কে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম আজ বুধবার এ আদেশ দেন।
আজ শ্রীশান্তকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানিতে তিনি বলেন, ২২ অক্টোবর ওনার কাছ থেকে আইপ্যাড, ল্যাপটপ ও বাটন ফোন জব্দ করেছে পুলিশ। এসবের ফরেনসিক করে জানার কথা এটা কে করেছে। ২৩ ও ২৫ সালে ওনার দুটি মোবাইল হারিয়েছে। সেসবের জিডিও করা হয়েছে। সেই মোবাইলগুলো হয়তো কারও হাতে পড়েছে। তারা এ কাজ করেছে। শ্রীশান্ত ১৪ দিন ধরে কারাগারে। এ সময়ের মধ্যে ফরেনসিক করলে পুলিশ সব তথ্য পেতে পারত।
রাষ্ট্রপক্ষ থেকে রিমান্ড আবেদনের বিরোধিতা করে শুনানিতে বলা হয়, ‘শ্রীশান্ত বিভিন্ন পেজে ফেক আইডি থেকে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনে লেখালেখি করেছেন। তাঁকে রিমান্ডে নেওয়া হলে এসবের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, কেন এসব করেছেন, সে তথ্যগুলো জানা যাবে। আমরা তিন দিনের রিমান্ডের প্রার্থনা করছি।’
উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর শ্রীশান্তকে আদালত থেকে হাজতখানার দিকে নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নিরাপত্তাকর্মী মো. আফগান হোসেন ২১ অক্টোবর চকবাজার থানায় সাইবার অধ্যাদেশ অনুযায়ী শ্রীশান্ত রায়ের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, আসামি বুয়েটের আহসান উল্লাহ হলে অবস্থান করে ছদ্মনাম ‘উইকলি সার্ভিস’ আইডি ব্যবহার করে মুসলিম নারী ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে গত ৮ জুন থেকে ৭ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন লেখা লেখেন। আসামি মুসলিম নারীসংক্রান্ত অশ্লীল মন্তব্য এবং ধর্মীয় ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করেছেন, যা বুয়েটের অন্যান্য শিক্ষার্থী ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন