৯৩ আসনে প্রার্থী দিয়েছে গণসংহতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ থেকে লড়বেন সাকি
![]() |
| ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আজ বুধবার গণসংহতি আন্দোলন দলের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে | ছবি: গণসংহতি আন্দোলনের ফেসবুক |
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৯৩টি আসনে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চের অংশ গণসংহতি আন্দোলন। মনোনীতদের মধ্যে রয়েছেন দলের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফসহ দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
বুধবার রাজধানীর হাতিরপুলে গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে দলের নেতা জোনায়েদ সাকি, আবুল হাসান রুবেলসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচিতি ও ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করেন আবুল হাসান রুবেল।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের এক দশক পূর্তিতে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ ও মাথাল র্যালি আগামী ১৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল ৩টায় শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অনুষ্ঠিত হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, 'নির্বাচন বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য। সংস্কার বাস্তবায়নের জন্য নির্বাচন প্রয়োজন।'
তিনি আরও বলেন, 'গণসংহতি আন্দোলনের প্রার্থীরা নিজ দলীয় প্রতীকেই নির্বাচন করবেন। তবে যদি অন্য কোনো দল জোটের প্রতীকে নির্বাচন করতে চায়, সে সুযোগ রাখাও সমীচীন মনে করি।'
জোনায়েদ সাকি বলেন, 'সংশোধিত আরপিওতে প্রার্থীদের জামানতের টাকা বেড়ে গেছে। এটা দেখাচ্ছে, নির্বাচন ক্রমেই অর্থনির্ভর হয়ে উঠছে। যাদের অর্থ কম, তাদের জন্য এটি কঠিন হচ্ছে।'
তিনি বলেন, 'আমরা একটি ঐতিহাসিক সময়ে আছি। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান পুরো দেশকে পুনর্গঠনের দাবি নিয়ে সামনে এনেছে। এই পুনর্গঠনে ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য জরুরি, যা রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের জন্য প্রয়োজন। এর মাধ্যমে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক নতুন বন্দোবস্ত কায়েম করতে চাই।'
জোনায়েদ সাকি বলেন, 'নতুন বন্দোবস্ত একক কোনো দলের পক্ষে সম্ভব নয়। এজন্য ন্যূনতম জাতীয় ঐকমত্য দরকার। গণসংহতি আন্দোলন, গণতন্ত্র মঞ্চ, বিএনপি ও অন্যান্য ৪৯টি দল এই লড়াই করছে। এই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন, গণভোট ও নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠন ও সংবিধান সংস্কার বাস্তবায়ন করতে হবে।'
তিনি বলেন, '৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর আমরা বলছি, শহীদের রক্তের ঋণ বহন করতে হলে তাদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে হবে। এজন্য বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ শেষ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক উত্তরণ ঘটানো সম্ভব।'
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশীদ নীলু, তাসলিমা আখতার, হাসান মারুফ রুমী, মনির উদ্দীন পাপ্পু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য বাচ্চু ভুইয়া, জুলহাসনাইন বাবু, দীপক কুমার রায়, তৌহিদুর রহমান, রেক্সোনা পারভীন সুমি, মুনীর চৌধুরি সোহেল, আলিফ দেওয়ান, মনিরুল হুদা বাবন, লুভানা তাবাসসুম, আবদুল আলীম, আমজাদ হোসেন, আরিফুর রহমান মিরাজ, মাহবুব রতন, লুৎফুন্নাহার সুমনা, গোলাম মোস্তফা, সাইফুল্লাহ সিদ্দিক রুমন ও তাহসিন মাহমুদ; উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য নাজার আহমেদ, পরামর্শক পরিষদের সদস্য গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব:) মো. খালেদ হোসাইন প্রমুখ।
সংসদীয় আসনভিত্তিক গণসংহতি আন্দোলনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন—

Comments
Comments