[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে ফজলুর রহমান বললেন, ‘এলাকার মানুষের সুখ–দুঃখের অংশীদার হতে চাই’

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ফজলুর রহমান | গ্রাফিকস: পদ্মা ট্রিবিউন 

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে (ইটনা–মিঠামইন–অষ্টগ্রাম) বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন ফজলুর রহমান। তিনি দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ছিলেন।

গত আগস্টে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ফজলুর রহমানের প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব ধরনের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। তখন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর মনোনয়ন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। গত সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।

কিশোরগঞ্জ–৪ আসনে ফজলুর রহমানের নাম ঘোষণা হওয়ার পর সমর্থকরা আনন্দ মিছিল করেন এবং মিষ্টি বিতরণ করেন। ইটনা উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মনির উদ্দিন বলেন, ‘ফজলুর রহমানের মনোনয়নে হাওরে বিএনপি নেতা–কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এজন্য বিএনপি চেয়ারপারসন ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানসহ নীতিনির্ধারকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।’

ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমার মতো একজন মুক্তিযোদ্ধাকে দল যেভাবে মূল্যায়ন করেছে, তার জন্য আমি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং নির্বাচনী এলাকার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। বাকিটা জীবন এলাকার মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সুখ–দুঃখের অংশীদার হয়ে থাকতে চাই।’

কিশোরগঞ্জ জেলার ছয়টি আসনের মধ্যে চারটি আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়া যাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ফজলুর রহমান ছাড়া অন্যরা হলেন কিশোরগঞ্জ–২ (কটিয়াদী–পাকুন্দিয়া) আসনে জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও পাকুন্দিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. জালাল উদ্দিন, কিশোরগঞ্জ–৩ (করিমগঞ্জ–তাড়াইল) আসনে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এম ওসমান ফারুক ও কিশোরগঞ্জ–৬ (ভৈরব–কুলিয়ারচর) আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো. শরীফুল আলম।

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বলেন, কিশোরগঞ্জের ছয়টি আসনের মধ্যে প্রাথমিকভাবে চারটির নাম ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এগুলোই চূড়ান্ত নয়, দল চাইলে পরিবর্তন করতে পারে।

বিভিন্ন মন্তব্যের কারণে গত ২৬ আগস্ট তিন মাসের জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের দলের সব পদ স্থগিত করা হয়। এই সিদ্ধান্তে তাঁর অনুসারীরা প্রতিবাদ দেখান। পদ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবিতে দলের নেতা–কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। ফজলুর রহমান নিজেও এলাকায় একাধিক সমাবেশে ধানের শীষ মার্কা ফেরত চান। ২০ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সম্মেলনে তাঁকে আমন্ত্রণ না দেওয়ার প্রতিবাদে তাঁর সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে সম্মেলনে যোগ দেন। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন