আপত্তির মুখে সংলাপ থেকে ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশকে বের করে দিলো ইসি

প্রথম পর্বের সংলাপে যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেনসহ প্রতিনিধিরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

দলের একটি অংশের আপত্তির মুখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য অংশের প্রতিনিধি দলকে। বের করে দেওয়া প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন মুফতি আবুল হাসানাত আমিনী। ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজিসহ প্রতিনিধি দলের আপত্তির কারণে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদের নির্দেশে তাঁদের বের হয়ে যেতে হয়।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ইসির দ্বিতীয় দিনের প্রথম পর্বের সংলাপের শুরুতেই এ ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনসহ নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের শীর্ষ কর্মকর্তা এবং ৬টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজিসহ প্রতিনিধিদল | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

জানা গেছে, সকাল সাড়ে ১০টায় সংলাপ শুরুর কথা থাকলেও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা আগেই নিজ নিজ আসনে বসেন। সংলাপ শুরুর কয়েক মিনিট আগে সেখানে প্রবেশ করেন ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজিসহ প্রতিনিধি দল। তখন আগে থেকেই বসা অংশ, মুফতি আবুল হাসানাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন ইসলামী ঐক্যজোটের অন্য অংশকে লক্ষ্য করে মুফতি সাখাওয়াত হোসেন রাজি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদের দোসর তারা।’

তিনি বলেন, ‘তারা বিগত ফ্যাসিবাদের সহযোগী ছিল। ২০২৪ সালসহ প্রতিটি একতরফা নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগকে বৈধতা দিয়েছে। তারা এখানে থাকলে আমরা থাকবো না।’

এ সময় নির্বাচন কমিশনের সচিব আখতার আহমেদ দুই পক্ষের প্রতিনিধিদের কাছে আমন্ত্রণপত্র দেখতে চান। সাখাওয়াত হোসেন রাজি আমন্ত্রণপত্র দেখালেও হাসনাত আমিনীর নেতৃত্বাধীন অংশ তাঁদের আমন্ত্রণপত্রের হার্ডকপি দেখাতে পারেননি।

তখন নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, ‘হার্ডকপি না থাকলে আপনারা চলে যান।’ এরপর তাঁরা বের হয়ে গেলে সাখাওয়াত হোসেন রাজির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল আসনে বসেন।

চলে যাওয়ার সময় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আলতাফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একতরফা সিদ্ধান্তে আমাদের বের করে দিয়েছে। অথচ নির্বাচন কমিশনে আমাদের নিবন্ধন রয়েছে।’

প্রথম পর্বের সংলাপে গণফোরাম, গণফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি–বিএসপি এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিরা অংশ নিয়েছেন।