[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ইসলামি দলকে জোটে টানতে নতুন উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপি

আগামী নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী নেতৃত্বাধীন ইসলামি দলগুলোর একক জোট হতে দিতে চায় না বিএনপি। এজন্য তারা হেফাজতে ইসলাম ঘনিষ্ঠ কিছু ইসলামি দলকে নিজেদের সঙ্গে টানার পরিকল্পনা করছে।

এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিএনপি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একাংশ, ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশ, নেজামে ইসলামী ও জমিয়াতুল মোদার্রেসিনের মতো দলগুলোকে নিয়ে জোট গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

হেফাজতে ইসলাম যদিও অরাজনৈতিক সংগঠন, তবু কয়েকটি ইসলামি দলের নেতা একই সঙ্গে হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক নেতা। বিএনপি মনে করছে, জমিয়াতুল মোদার্রেসিনের দুটি সংগঠন—ইসলামী যুব কাফেলা ও ইসলামী ছাত্র কাফেলা—কাফর মতো শক্তিশালী। এসব দল জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে জোট করছে না। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও এই দলগুলোর জামায়াতে ইসলামের সঙ্গে মতপার্থক্য রয়েছে।

বিএনপি শুধু এই দলগুলোর সঙ্গে জোট গঠনের চেষ্টা করছে না, হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী, শর্ষিণার পীর মুফতি শাহ আবু নসর নেসারউদ্দিন এবং আলিয়া মাদ্রাসাভিত্তিক আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলছে। বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, জোট গঠনের জন্য বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হকের সঙ্গে বিএনপির কথা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাকে ঢাকা-৭ আসন দেওয়া হতে পারে। এছাড়া আরও দু’একটি আসন খেলাফত মজলিশকে দেওয়া হতে পারে।

মাওলানা মামুনুল হক বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আসন সমঝোতার সঙ্গে ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্র পরিচালনার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। তবে এসব বিষয় এখনও চূড়ান্ত হয়নি। তাই জোট গঠনের ব্যাপার এখনো ফাইনাল হয়নি।

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের পাশাপাশি বিএনপির কাছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামও গুরুত্বপূর্ণ। এই দলের জোটে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনায় সিলেট-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, নারায়ণগঞ্জ-৪ ও নীলফামারী-১ আসনে এখনও বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি।

গত ২০১৮ সালে সিলেট-৫ আসনে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের আমির উবায়দুল্লাহ ফারুক বিএনপির জোট থেকে মনোনয়ন পেয়েছিলেন। এবারও দলটি যদি জোটে যোগ দেয়, আসনটি তাকেই দেওয়া হবে। এছাড়া নীলফামারী-১ আসনে মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে কেন্দ্রীয় নেতা মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে মনির হোসেন কাসেমীকে জোটের প্রার্থী করা হতে পারে।

তবে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের দাবি, তারা বিএনপির কাছে ১২টি আসন চাচ্ছে। বিএনপি এতগুলো আসন ছাড়তে রাজি নয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তির জন্য বিএনপির দরজা খোলা। যারা আসতে চান, তাদের সঙ্গে আলোচনা হবে। এখনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।

বিএনপি নেতারা মনে করেন, যদি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামকে জোটে টানা যায়, ধর্মভিত্তিক আরও কয়েকটি দলও জোটে যোগ দিতে পারে। এতে জামায়াতে ইসলামের নেতৃত্বাধীন জোট এককভাবে ভোট চাওয়ার সুযোগ পাবে না। বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে হেফাজতে ইসলামের আমির মাওলানা শাহ মহিবুল্লাহ বাবুনগরী। কারণ হাটহাজারী মাদ্রাসাসহ দেশের কওমি মাদ্রাসায় তার প্রভাব বেশি। তাই বিএনপি তার সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছে।

বিএনপির শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, ইসলামি দলগুলো যদি জোটে আসে, তখন আগের জোটসঙ্গীদের সঙ্গে মিলিয়ে বৃহত্তর জোট হবে। সেক্ষেত্রে জোটের শরীকদের ৪০টি আসন দেওয়া হতে পারে। যদি না আসে, চূড়ান্ত হওয়া জোটসঙ্গীদের ৩০টি আসন কমবেশি দেওয়া হতে পারে। ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হওয়া জোটসঙ্গীদের মধ্যে আছে গণফোরাম, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি (এলডিপি), জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক মুভমেন্ট (এনডিএম), লেবার পার্টি ও ভাসানী জনশক্তি পার্টি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন