সাবেক বৈষম্যবিরোধী নেত্রীর অভিযোগ এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে
![]() |
| জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য জুবায়েরুল আলম | ছবি: সংগৃহীত |
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় সদস্য জুবায়েরুল আলমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, চাঁদাবাজি, মামলা-বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক মুখপাত্র মাহবুবা ইলা খাদিজা। এ বিষয়ে তিনি চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
গতকাল শনিবার মাহবুবা নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ বরাবর অভিযোগ জমা দেন। লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, জুবায়েরুল আলমের বিভিন্ন অন্যায় কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করার কারণে তিনি হুমকি, হয়রানি ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।
মাহবুবা আরও জানান, এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য হওয়ার পর জুবায়েরুল আলমের অনুসারীরা এলাকায় চাঁদাবাজি, মামলা-বাণিজ্য, অবৈধ বালুমহাল, ব্রিজঘাট দখলসহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত হয়েছেন।
তিনি অভিযোগে জুবায়েরুল আলমের পাশাপাশি আরও তিনজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তারা হলেন মো. ফরিদ, মো. কামাল ও উজ্জ্বল সাহেদ। এছাড়া অজ্ঞাত ৮-১০ জনকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে। মাহবুবার দাবি, সবাই জুবায়েরুলের অনুসারী এবং নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের সদস্য ও সমর্থক।
মাহবুবা ইলা বলেন, ‘অপরাধের প্রতিবাদ করার কারণে জুবায়েরুল আলম ও তার অনুসারীরা আমাকে হুমকি দিচ্ছেন। নিরাপত্তার কারণে আমি কমিশনার বরাবর অভিযোগ করেছি। এছাড়া এনসিপির শীর্ষ নেতাদেরও এই বিষয়টি জানিয়েছি। পুলিশে অভিযোগ দেওয়ার পর জুবায়েরুল আরও বেপরোয়া হয়ে গেছে।’
![]() |
| বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন-চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সাবেক মুখপাত্র মাহবুবা ইলা খাদিজা | ছবি: মাহবুবার ফেসবুক থেকে। |
অভিযোগের বিষয়ে এনসিপি কেন্দ্রীয় সদস্য জুবায়েরুল আলম বলেন, এসব অভিযোগ সত্য নয়। তিনি জানান, মাহবুবা ও তিনি একসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে একসাথে ছিলেন। তবে গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তাঁর মাহবুবার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। অন্য কারও কথায় প্রভাবিত হয়ে মাহবুবা এই মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (সদর) শ্রীমা চাকমা জানান, নগর পুলিশের কার্যালয়ে এ ধরনের অভিযোগ প্রতিদিন আসে। অভিযোগ পাওয়া গেলে তা যাচাই-বাছাই ও অনুসন্ধান করা হয়। প্রয়োজন হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


Comments
Comments