কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে ট্রাইব্যুনাল থেকে পুরো রাজধানী
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও এর আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের সামনে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এছাড়াও পুরো রাজধানীজুড়েই এক ধরনের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
সোমবার সকালে ট্রাইব্যুনালের সামনে এমন চিত্র দেখা গেছে।
দেখা যায়, সুপ্রিম কোর্টের চারদিকে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা কড়া পাহারায় রয়েছেন। মাজার গেটের সামনে সেনাবাহিনীকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। আর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে ও ভেতরে পুলিশ, র্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, এই রায়কে কেন্দ্র করে যেকোনও ধরনের নাশকতা বা সহিংসতা ঠেকাতে তারা ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করছে। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যারা নাশকতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রায়কে কেন্দ্র করে কোনও ধরনের অস্থিতিশীলতা বরদাশত করা হবে না।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ট্রাইব্যুনাল ছাড়াও প্রেসক্লাব, পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ, ধানমন্ডি, সংসদ ভবন, মিরপুর, গুলশান, উত্তরা, বিমানবন্দরসহ পুরো রাজধানীজুড়েই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিপুলসংখ্যক সদস্য উপস্থিত রয়েছেন। একই সঙ্গে চলছে টহলও। রায়কে ঘিরে কোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেন না ঘটে, সে জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই বড় আয়োজন।
রাজধানীসহ ৪ জেলায় বিজিবি
বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম জানান, ঢাকা, গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর ও মাদারীপুরে বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। সামগ্রিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা পুলিশ ও প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বিতভাবে কাজ করছে।
সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা জানান, প্রয়োজনে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ‘মুভিং কনভয়’ মোতায়েন করা হতে পারে।
এদিকে ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, ‘আজ এ রায়কে ঘিরে যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে আমাদের সর্বাত্মক প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও মাঠে রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পুরো রাজধানীজুড়েই আমাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।’

Comments
Comments