[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গাইবান্ধায় ‘চোর’ সন্দেহে ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
হত্যা | প্রতীকী ছবি

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে গরুচোর সন্দেহে আবদুস সালাম (৫০) নামের এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার ভোররাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত আবদুস সালাম একই ইউনিয়নের রামডাকুয়া গ্রামের ওমেদ আলীর ছেলে। পরিবার জানায়, তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। এ ঘটনায় দুলালী বেগম (৪৩) নামের এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি বেলকা নবাবগঞ্জ গ্রামের আবদুল গণি মিয়ার স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে গণি মিয়ার গোয়ালঘরে ঢোকেন সালাম। বিষয়টি টের পেয়ে দুলালী বেগম তাঁর স্বামীকে খবর দেন। পরে তাঁরা গিয়ে সালামকে দেখতে পান। দুলালী আশপাশের লোকজন ও আত্মীয়দের ডাকেন। সবাই এসে সালামকে রশি দিয়ে বেঁধে বেধড়ক মারধর শুরু করেন। একপর্যায়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে পুকুরপাড়ে বেঁধে রাখা হয়। ভোররাতে তাঁকে আবার গোয়ালঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা–পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। বিকেলে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি।

গোয়ালঘরের মালিক আবদুল গণি মিয়া বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমার একটি শ্যালো মেশিন চুরি গেছে। রাতে সালামকে গোয়ালে দেখে আমি প্রতিবেশীদের খবর দিই। পরে তারা এসে মারধর করে।’

সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আবদুল হাকিম আজাদ বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত চলছে। যারা জড়িত, তাদের শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নিহতের স্বজনেরা জানান, আবদুস সালাম দীর্ঘদিন মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। এর আগে কখনো তাঁর বিরুদ্ধে চুরি বা অন্য কোনো অভিযোগ ওঠেনি। তাঁদের অভিযোগ, সালামকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাঁর তিনটি ছোট ছেলে সন্তান আছে। বাবাকে হারিয়ে তারা এখন দিশেহারা।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন