বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি, গুলিবিদ্ধ ৫
![]() |
| রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের গোলাগুলির ঘটনায় হাসপাতালে আনা হয় আহত একজনকে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রামের রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ ও গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচ নেতা–কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বুধবার গভীর রাতে উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধদের মধ্যে তিনজন জেলা বিএনপির বিলুপ্ত কমিটির আহ্বায়ক গোলাম আকবরের অনুসারী এবং দুজন বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান (পদ স্থগিত) গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
গুলিবিদ্ধরা হলেন রাউজান উপজেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ, বাগোয়ান ইউনিয়ন কৃষক দলের সহসভাপতি মোহাম্মদ ইসমাইল, ইউনিয়ন শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম চৌধুরী, ইউনিয়ন যুবদলের সহসভাপতি রবিউল হোসেন ও স্থানীয় বিএনপিকর্মী মোহাম্মদ সোহেল।
পুলিশ জানায়, গুলিবিদ্ধদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।
গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সহসভাপতি সাবের সুলতান বলেন, এ ঘটনায় তাঁদের পক্ষেরও দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষ আলাদা অবস্থানে আছে। তবে গুলিবিনিময়ের ঘটনাটি সম্ভবত এলাকার আধিপত্য নিয়ে হয়েছে। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি।
রাউজানে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও সন্ত্রাসী ঘটনা চলছেই। গত এক বছরে এ উপজেলায় একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটেছে। কখনো প্রকাশ্যে গুলি চালিয়ে, কখনো ছুরিকাঘাত বা পিটিয়ে এসব খুন করা হয়েছে। এসব ঘটনায় অস্ত্রধারী বা মূল আসামিদের কেউই ধরা পড়েনি। এমনকি ব্যবহৃত কোনো অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি।
গত বছরের ৫ আগস্টের পর থেকে সহিংসতায় এ উপজেলায় মোট ১৭টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এর মধ্যে ১২টি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। সর্বশেষ গত ২৫ অক্টোবর যুবদলের কর্মী মুহাম্মদ আলমগীর আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এর আগে ৭ অক্টোবর খুন হন বিএনপির কর্মী মুহাম্মদ আবদুল হাকিম (৫২)। রাউজানের খামারবাড়ি থেকে ফেরার পথে হাটহাজারীর মদুনাঘাট এলাকায় চলন্ত গাড়িতে গুলি চালিয়ে তাঁকে হত্যা করে অস্ত্রধারীরা। এ ঘটনাতেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

Comments
Comments