ইন্টারনেটের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে: আইএসপিএবি
![]() |
| রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশনের (আইএসপিএবি) সংবাদ সম্মেলন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সরকারের প্রস্তাবিত নীতিমালায় বিভিন্ন ফি ও চার্জ আরোপের কারণে গ্রাহকদের কাছে ইন্টারনেটের খরচ আরও অন্তত ২০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন দেশের ইন্টারনেট সেবাদাতারা।
তারা রাজনৈতিক দলগুলোকে অনুরোধ করেছেন, ইন্টারনেটের দাম বাড়ার বিষয়টি দায়িত্বশীল নেতৃত্বের হাতে ছেড়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে।
আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারস অ্যাসোসিয়েশন (আইএসপিএবি) এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়টি জানিয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ফিক্সড টেলিকম সার্ভিস প্রোভাইডারদের (এফটিএসপি) জন্য একটি খসড়া গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। এ বিষয়ে আইএসপিএবি আপত্তি জানিয়েছে।
নতুন খসড়া গাইডলাইনে ৫.৫ শতাংশ রেভিনিউ শেয়ার এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের জন্য ১ শতাংশ জমা দিতে হবে। এছাড়া এফটিএসপি অপারেটরদের ক্রয়মূল্যও ১৪ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে।
আইএসপিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, 'টেলিযোগাযোগ খাত নিয়ে সরকার তার উদ্দেশ্য থেকে বেরিয়ে গেছে এবং জনগণের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। সরকার ভুল পথে এগোচ্ছে।'
তিনি বলেন, বিদ্যমান নীতিতে সরকার এই খাত থেকে রেভিনিউ শেয়ারিং, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল ও ভ্যাটসহ ২১.৪৫ শতাংশ আয় পায়, কিন্তু নতুন প্রস্তাবিত নীতিতে তা ৪০.২৫ শতাংশ হবে। সরকারি নীতিতে শহর ও গ্রামে বৈষম্য বাড়বে।
আমিনুল হাকিম আরও বলেন, 'বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা সরকার নিজেই বৈষম্য উপহার দিচ্ছে। একদিকে ইন্টারনেটের দাম কমানোর কথা বলা হচ্ছে, অন্যদিকে নিজে দাম বাড়াচ্ছে। স্টারলিংকের জন্য সরকার লাইসেন্স ফি ১০ হাজার ডলার নির্ধারণ করেছে, অর্থাৎ ১২ লাখ টাকা, কিন্তু দেশের আইএসপিদের জন্য সেটি ২৫ লাখ টাকা। স্টারলিংককে এত সুবিধা কেন দেওয়া হলো, এ প্রশ্ন রয়েছে।'
সংবাদ সম্মেলনে আইএসপিএবি জানিয়েছে, প্রস্তাবিত খসড়া গাইডলাইনে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ওয়্যারলেস একসেস ও লাস্ট মাইল ফাইবার সংযোগের মাধ্যমে ফিক্সড কানেকটিভিটি দেওয়ার স্পষ্ট অনুমোদন আছে, যা দেশীয় ও নিজস্ব বিনিয়োগে গড়ে ওঠা আইএসপিগুলোর জন্য চরম অসম প্রতিযোগিতা তৈরি করবে। এতে সাধারণ গ্রাহকের ওপরও বড় প্রভাব পড়বে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন