[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

দক্ষিণ আফ্রিকার স্বপ্ন ভেঙে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

প্রকাশঃ
অ+ অ-
চ্যাম্পিয়নের ট্রফিতে হাতে ভারতের উল্লাস | ছবি: রয়টার্স

দীপ্তি শর্মার করা লো ফুলটসটা এক্সট্রা কাভার দিয়ে উড়িয়ে মারতে চাইলেন ব্যাটার। কিন্তু বল তেমন জোরে যায়নি। পেছন দিক থেকে দৌড়ে এসে সহজেই ক্যাচটা ধরলেন হারমানপ্রীত কৌর। এরপরই গোটা ভারতজুড়ে শুরু হলো উৎসব। নামের পাশে যুক্ত হলো নতুন তকমা—বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। রোববার দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৫২ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ জিতেছে ভারত।

প্যাট কামিন্স পেরেছিলেন, পারেননি লরা ভলভার্ট। গোটা ভারতকে স্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার এই অধিনায়ক। প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডও এখন তাঁর দখলে। কিন্তু শিরোপার সামনে সেই সব অর্জনই ম্লান হয়ে গেছে দীপ্তি শর্মার নৈপুণ্যে। ব্যাটে-বলে আলো ছড়ানো দীপ্তিই হয়ে উঠলেন ভারতের দীপ্তি।

বিশ্বকাপ ইতিহাসে এর আগে কেউ ১৬৭ রানের বেশি তাড়া করে জেতেনি। নভি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৯৯ রানের। চ্যালেঞ্জটা ছিল বড়, কিন্তু ভলভার্ট যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, ততক্ষণ আশা ছিল। তিনি উদ্বোধনী জুটিতে তাজমিন ব্রিটসকে নিয়ে করেন ৫১ রান, তৃতীয় উইকেটে সুনে লুসকে নিয়ে ৫২ রান, আর ষষ্ঠ উইকেটে আনেরি ডেরেকসনের সঙ্গে যোগ করেন ৬১ রান। তিনটি পঞ্চাশোর্ধ জুটি গড়েও পারেননি দলকে বাঁচাতে। ৯৮ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ১০১ রান করে আউট হন ভলভার্ট। এরপরই দক্ষিণ আফ্রিকার হার নিশ্চিত হয়। ২৭ বল বাকি থাকতেই অলআউট হয় দলটি, ২৪৬ রানে।

এই জয়ের পেছনে বড় অবদান দীপ্তি শর্মা ও শেফালি ভার্মার। ফাইনালের মতো ম্যাচে ৫ উইকেট নেওয়া সহজ নয়, দীপ্তি সেটাই করেছেন ৩৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে। শেফালি নিয়েছেন ২ উইকেট। অথচ টুর্নামেন্টের শুরুতে দলে জায়গাই ছিল না তাঁর। প্রতীকা রাওয়ালের চোটে সুযোগ পান শেফালি, আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হয়েছেন ফাইনালের সেরা।

টস হেরে আগে ব্যাট করে ভারত তোলে ৭ উইকেটে ২৯৮ রান। ইনিংসের শুরু থেকেই দারুণ খেলেন শেফালি ও দীপ্তি। শেফালি উদ্বোধনী জুটিতে স্মৃতি মান্ধানার (৪৫) সঙ্গে যোগ করেন ১০৪ রান। এরপর তিন নম্বরে নামা জেমিমা রদ্রিগেজের সঙ্গে করেন ৬২ বলে ৬২ রান। এই জুটি অবশ্য অনেক আগেই ভাঙতে পারত। ২১তম ওভারে শেফালির সহজ ক্যাচ ফেলে দেন অ্যানেকে বশ। ৫৬ রানে বেঁচে গিয়ে তিনি শেষ পর্যন্ত ৭৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৮৭ রান।

শেষ দিকে ঝড় তোলেন দীপ্তি ও রিচা ঘোষ। দীপ্তি ৫৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ রান করে রানআউট হন। রিচা ২৪ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় করেন ৩৪ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩ উইকেট নেন খাকা।

২০০৫ ও ২০১৭ সালের ফাইনালের হার ভুলিয়ে ভারতের বোলাররাই এবার লিখলেন বিশ্বজয়ের গল্প।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন