[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

এনসিপির কমিটিতে হত্যা মামলার প্রধান আসামি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

এনসিপি চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পাওয়া সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান | ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সমন্বয় কমিটিতে যুগ্ম সমন্বয়কারীর পদ পেয়েছেন সৈয়দ মোহাম্মদ ইমরান। কিন্তু তিনি একটি হত্যা মামলার আসামি হওয়ায়, ঘোষিত কমিটিতে তাঁর নাম থাকায় মামলার বাদী ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

গত শুক্রবার বিকেলে জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব ও দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ স্বাক্ষরিত কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ৩৭ সদস্যের ওই কমিটিতে কর্ণফুলীর ইমরান হোসেন যুগ্ম সমন্বয়কারী হিসেবে স্থান পান। তিনি কর্ণফুলী থানায় দায়ের করা জাফর হত্যার মামলা এবং একটি চেক প্রতারণার মামলায় ১৩ অক্টোবর রাতে চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে জামিন পান।

নিহত জাফরের পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের ২৪ আগস্ট চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া ফকির মসজিদের সামনে জাফর আহমদকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ইমরান হোসেনকে প্রধান আসামি করে জাফরের স্ত্রী ফাতেমা বেগম কর্ণফুলী থানায় মামলা করেন। মামলায় ইমরানসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও ছয়-সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

এ ছাড়া চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ও দায়রা জজ আদালতে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক চেক প্রতারণার মামলা বিচারাধীন রয়েছে। ইমরান হোসেন কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের গোয়ালপাড়া গ্রামের রেজাউল করিমের ছেলে।

নিহত জাফরের পুত্র মোহাম্মদ আবছার বলেন, ‘আমার বাবার হত্যার চার্জশিটভুক্ত প্রধান আসামি জাতীয় নাগরিক পার্টির জেলা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে এসেছে। এতে আমরা আতঙ্কিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘নানা সময়ে ইমরান আমাদের হুমকি দিতেন। এখন কমিটিতে আসন পেয়ে তিনি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবেন। এটা আমার বাবার হত্যার ন্যায়বিচার পেতে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।’

ইমরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের লোকজন ষড়যন্ত্র করে ওই মামলায় আমাকে আসামি করেছে এবং আমাদের পুরো পরিবার উচ্ছেদ করেছে। ১২ বছর ধরে আওয়ামী লীগের কারণে বাড়িতে থাকতে পারিনি। বাড়িঘর দখল করা হলেও এখনও নিতে পারিনি। এমনকি আমার এক মামা মারা গেলে তাঁকে কবরও দিতে পারিনি।’ তিনি আরও জানান, ‘ওই হত্যা মামলায় ২ নম্বর আসামি একজন বিএনপি নেতা, আমার মা ৩ নম্বর এবং আমার এক ভাই ৪ নম্বর। এসব আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।’

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সুজা উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি; তাই তাঁর মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন