[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

অন্তরঙ্গ ভিডিও ধারণ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা

প্রকাশঃ
অ+ অ-

মরদেহ | প্রতীকী ছবি

ফেনীর সোনাগাজীতে এক অটোরিকশাচালককে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করার পর হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, ওই চালক রোববার সকালে প্রতিবেশী এক দম্পতির অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও গোপনে ধারণ করছিলেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাতে তাঁর ওপর হামলা হয়। সোমবার ভোরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহত অটোরিকশাচালকের নাম মোহাম্মদ সুজন (২৬)। তিনি সোনাগাজীর চরদরবেশ ইউনিয়নের দক্ষিণ চরসাহাভিকারী গ্রামের মো. মোস্তফার ছেলে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সুজনের প্রতিবেশী মামুন হোসেন (২৯), মামুনের স্ত্রী আসমা আক্তার (২০), সোনাগাজীর কামাল উদ্দিনের স্ত্রী লিপি আক্তার (৪০) ও একই এলাকার আবদুর রহিমের ছেলে জামসের আলম (৪৫)।

সুজনের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনি স্ত্রী ও চার বছরের মেয়েকে নিয়ে সোনাগাজীর একটি বাজারসংলগ্ন বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশের কক্ষে থাকতেন মামুন ও তাঁর স্ত্রী আসমা আক্তার। গতকাল সকালে আসমার অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণের অভিযোগ ওঠে সুজনের বিরুদ্ধে। রাতে বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে মামুন সুজনের ওপর হামলা চালান। প্রথমে পিটিয়ে, পরে ধারালো বঁটি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন আহত সুজনকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে তাঁকে ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতাল ও সেখান থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভোরে তাঁর মৃত্যু হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের ভাতিজা তারেক খান অভিযোগ করেন, ভিডিওর ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরিকল্পিতভাবে সুজনকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সবাইকে শাস্তি দিতে হবে।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে গ্রেপ্তার ও হত্যায় ব্যবহৃত বঁটি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন