অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সমালোচনায় হাসনাত আবদুল্লাহ
![]() |
| এনসিপির চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার সন্ধ্যায় নগরের লালখান বাজার এলাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটেছ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার সমালোচনা করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। এই দুই উপদেষ্টা হলেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম ও মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক–ই–আজম।
বুধবার সন্ধ্যায় এনসিপির চট্টগ্রাম অঞ্চলের (মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ) সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সমালোচনা করেন। নগরের লালখান বাজার এলাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে এনসিপি, যুবশক্তি, ছাত্রশক্তি ও শ্রমিকশক্তির বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন। হাসনাত আবদুল্লাহ তাঁদের নানা অভিযোগ ও প্রশ্নের জবাব দেন।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, 'স্বাস্থ্য উপদেষ্টা সরকারের সবচেয়ে ব্যর্থ উপদেষ্টা। তিনি স্বাস্থ্য বোঝেন না। শুধু বোঝেন কোথা থেকে কিস্তি নিয়ে কত লাভ হবে। আমার খুলনার এক ভাই চোখ হারিয়েছেন। যথাসময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হলে আজ এই ক্ষতি হতো না।'
মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক উপদেষ্টার সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'আমি তাঁকে বলেছিলাম, এক সপ্তাহের মধ্যে আহতদের ক্ষতিপূরণ পরিশোধ করুন। তিনি বলেছেন, তাদের নাকি একটা প্রটোকল আছে। এখন তিনি প্রটোকল মেনে কালো গ্লাসের গাড়ির ভেতরে থাকেন। যদি দ্রুত সময়ে আহত ও শহীদদের পরিবারের দাবি ও হিসাবগুলো ক্লিয়ার না করেন, মানুষ রাস্তায় বিচার করবে।'
সভায় এনসিপি চট্টগ্রাম নগরের প্রধান সমন্বয়কারী মীর আরশাদুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এ এস এম সুজা উদ্দিন, দক্ষিণ জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসান আলী, উত্তর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী সাগুপ্তা বুশরা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জুবাইরুল হাসান, ইমন সৈয়দ, কেন্দ্রীয় সদস্য জুবাইরুল আলম, জাওয়াদুল করিম ও এহসানুল মাহবুব।
সভায় সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাসান আবদুল্লাহ বলেছেন,‘আমরা রাষ্ট্র পুনর্গঠনে বিশ্বাসী। এনসিপি কোনো জোটে বিশ্বাসী নয়। তবে আমাদের সঙ্গে সংস্কারের প্রশ্নে যদি কেউ আসতে চায়, আমরা তাঁকে জোটে নেব।’
তিনি বিএনপির দিকেও বার্তা দিয়ে বলেন, ‘বিএনপির যারা মনোনয়নে বঞ্চিত হয়েছেন, কিন্তু বাংলাদেশপন্থায় বিশ্বাস করেন এবং দেশ পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিতে চান, তাদের আমরা এনসিপিতে স্বাগত জানাবো। কে জিতবে, কে হারবে—এটা মুখ্য নয়। আমাদের কাজ হবে নির্বাচনব্যবস্থাকে সঠিক করা। আমি কোনো দরদাম করে সংসদে মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি করে নির্বাচনব্যবস্থাকে কলুষিত করব না। আমরা এই খন্দকার মোস্তাকদের মত হতে আসিনি। আমরা লড়ব—স্বচ্ছভাবে। প্রয়োজনে হারলেও মেনে নেব। যে জিতবে, তাঁকে সমর্থন দেবো। কিন্তু আমরা মাঠ থেকে সরে আসব না।’
কোনো ধরনের সমঝোতায় এনসিপি বিশ্বাস করে না বলেও তিনি জানান, ‘আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে রাজপথকে আমাদের সংসদ বানাব। আমাদের সংসদ হচ্ছে রাজপথ। আমাদের শক্তি হচ্ছে জনগণ, সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ আমাদের সততা। আমরা শুনছি ব্যালট বাক্স ১২টার মধ্যে ভরে ফেলা হবে বা ছিনতাই করে নেওয়া হবে—আমরা বলি, যদি আমরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি, আপনারা আমাদের ব্যালটের জয় থামাতে পারবেন না।’

Comments
Comments