[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের বিরোধে গুলিবিদ্ধ আরেকজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২

প্রকাশঃ
অ+ অ-

গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শিপন মিয়া। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান | ছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত আরও একজন মারা গেছেন। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় এক শিক্ষকসহ আরও দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

নিহত ইয়াছিন মিয়া (২০) আলমনগর গ্রামের বাসিন্দা। আজ রোববার বিকেলে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগে সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ শিপন মিয়া (৩০) মারা যান। শিপনের বাড়ি বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামে।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকা দুজন হলেন বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেন (৩৮) এবং চরলাপাং গ্রামের নুর আলম (১৮)। এমরান শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল ও কলেজের শিক্ষক, আর নুর আলম হোটেলের কর্মচারী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) পিয়াস বসাক প্রথম আলোকে বলেন, “পূর্বশত্রুতাসহ আধিপত্য বিস্তারের জেরেই গুলি চলে। এখন পর্যন্ত দুজন মারা গেছেন। শিপন সকালে, ইয়াছিন বিকেলে মারা যান।”

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের সঙ্গে থোল্লাকান্দি গ্রামের রিফাত ও আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল। গত শনিবার রাতে বড়িকান্দি গণি শাহ মাজারের একটি হোটেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপন ও হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াছিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়।

এদিকে শিপনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পেয়ে মোন্নাফ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক গণি শাহ মাজারের কাছে তালতলায় এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালায়। এতে এমরানও গুলিবিদ্ধ হন। ঘটনার পর পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন