নির্বাচন দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা–বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে: জামায়াতের আমির
![]() |
| সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমান্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। আজ বুধবার সকালে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেছেন, ‘সবাইকে নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আদায় করে দেখাব। দেরি হলে বিভিন্ন ধরনের আশঙ্কা ও বিশৃঙ্খলার সম্ভাবনা আছে।’
আজ বুধবার সকালে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
টানা তৃতীয়বার জামায়াতের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর এটি শফিকুর রহমানের সিলেটে প্রথম সফর। সম্প্রতি তিনি যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ চারটি দেশ ভ্রমণ শেষে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরে সিলেট জামায়াতের নেতারা তাকে স্বাগত জানান।
পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন না হলে জামায়াত অবস্থান থেকে সরে যাবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শফিকুর রহমান বলেন, ‘গণতন্ত্রের মানে হলো একাধিক দল ও একাধিক আদর্শ থাকা। সবাই নিজ কর্মসূচি, আদর্শ ও দাবি নিয়ে আসবে। আমার দাবি মানা হবে এমন নয়। আমি মনে করি আমার দাবিই শ্রেষ্ঠ, জনগণ তা বিবেচনা করবে। আমরা যা করি জনগণের জন্য করব। জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কিছুই করব না। জনগণ যদি মেনে নেয় আমরা খুশি, না নিলে আমরা আমাদের দাবিটা অব্যাহত রাখব।’
নির্বাচনে জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো জোটের সিদ্ধান্ত নিইনি এবং জোট করব না। আমরা যে নীতি বলেছি, প্রত্যেকটি জায়গায় একটি বাক্স থাকবে। ইসলামি দলের পাশাপাশি দেশপ্রেমিক ও প্রতিশ্রুতিশীল আরও মানুষ যুক্ত হচ্ছেন, আরও যুক্ত হবেন ইনশাল্লাহ। আমরা সবাইকে নিয়ে দেশ গড়তে চাই।’
গণভোট প্রসঙ্গে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার। গণভোট না হলে সাধারণ নির্বাচন কী ভিত্তিতে হবে, তা ঠিক হবে না। এজন্য আমরা চাই, আগে গণভোট হোক এবং সনদটি আইনি বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই হোক।’
অতীতে নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে তিনি বলেন, ‘যাঁরা অতীতে দায়িত্ব নিয়েছেন, কেউ কেউ খুব উৎসাহী হয়ে কাজ করেছেন। আবার কেউ তাদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু জনগণ যখন সক্রিয় হবে, তখন আর কারও প্রভাব থাকবে না। তখন নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হবে।’
শফিকুর রহমান আরও বলেন, অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি নির্ধারিত সময়ে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করতে পারেননি। এজন্য তিনি নিবন্ধনের সময় আরও ১৫ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া জামায়াত ক্ষমতায় এলে প্রবাসীদের অনুপাতে সরকারের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা হবে। সিলেটে যোগাযোগব্যবস্থা ও অন্যান্য সমস্যার বিষয়েও জামায়াত সোচ্চার থাকবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট-১ আসনের প্রার্থী হাবিবুর রহমান, সিলেট-৪ আসনের প্রার্থী জয়নাল আবেদিন, সিলেট-৩ আসনের প্রার্থী লোকমান আহমদ, সিলেট মহানগর জামায়াতের আমির মুহাম্মদ ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন