[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

বিএনপি বলছে, পুলিশ কমিশন ও এনজিও আইন পাসে সরকারের ‘ভিন্ন উদ্দেশ্য’

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিএনপির লোগো | ছবি: বিএনপির ফেসবুক থেকে নেওয়া

জাতীয় নির্বাচনের আগে সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও বিষয়ক আইন পাস করার মাধ্যমে সরকারের ‘ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য’ কাজ করছে বলে মনে করছে বিএনপি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অন্তর্বর্তী সরকারকে এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে যে, তড়িঘড়ি করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, আরেকটি এনজিও–সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই ধরনের আইন পাসের পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে, যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া তড়িঘড়ি করে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। এই আইন দুটি পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মাধ্যমে প্রণয়ন করা উচিত। সরকারকে আমরা আহ্বান জানাচ্ছি, এমন পদক্ষেপ থেকে বিরত থাকুন।’

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় নির্বিচার গুলি ও বল প্রয়োগের পর বিভিন্ন পক্ষের দাবি ওঠে, পুলিশ বাহিনী স্বাধীন কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত হোক। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল, একটি স্বাধীন কমিশন গঠিত হোক, যা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পদগুলোর নিয়োগ, বদলি ও পদোন্নতির বিষয়গুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের অভিযোগ নিষ্পত্তি ও বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ক্ষোভও এই কমিশন নিরসন করবে।

পুলিশ কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য এবং জুলাই সনদে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর সরকার অধ্যাদেশের মাধ্যমে স্বশাসিত কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়। আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে উপদেষ্টাদের একটি কমিটি কমিশনের কাঠামো ও কার্যক্রমের খসড়া তৈরি করেছে। খসড়ায় বলা হয়েছে, এই কমিশন পুলিশের কার্যক্রমে শৃঙ্খলা, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। তবে কমিশন পুলিশ পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ হবে না।

এদিকে শনিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের একটি বিশেষ সভায় বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে। এর ফলে এখন থেকে বছরে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত অনুদানের ক্ষেত্রে এনজিওগুলোকে অনুমোদন নিতে হবে না।

প্রেস উইং জানায়, বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবামূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন (সংশোধন) অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের মাধ্যমে বর্তমান আইনের কয়েকটি ধারায় পরিবর্তন এসেছে। এতে এনজিও নিবন্ধনের নিয়ম সহজ হয়েছে এবং অনুদান অবমুক্ত করার শর্তগুলোও সহজ করা হয়েছে।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন