[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির মামলার রায় সোমবার

প্রকাশঃ
অ+ অ-
শেখ হাসিনা | ফাইল ছবি 

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় করা মামলার রায় আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) ঘোষণা করা হবে। মামলায় আসামি রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আরও দুই ব্যক্তি।

বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ আজ বৃহস্পতিবার এই রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

শেখ হাসিনার সঙ্গে এই মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এর মধ্যে সাবেক আইজিপি মামুন ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।

২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলাটি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রথম মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

প্রথম দিকে মামলায় একমাত্র আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা। চলতি বছরের ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে ট্রাইব্যুনাল সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকেও আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে।

একাধিকবার সময় বাড়ানোর পর চলতি বছরের ১২ মে চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।

গত ১ জুন শেখ হাসিনা ও এই দুই আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে প্রসিকিউশন। আনুষ্ঠানিক অভিযোগে এই তিন আসামির বিরুদ্ধে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।

অভিযোগগুলো হলো—গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ। 

এই পাঁচ অভিযোগে গত ১০ জুলাই তিন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।

আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান পলাতক। সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন একমাত্র গ্রেপ্তারকৃত আসামি। 

আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের দিন (১০ জুলাই) সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বীকার করেন যে, তিনি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ‘অ্যাপ্রুভার’ বা রাজসাক্ষী হওয়ার আবেদন করেন।

মামলায় যুক্তিতর্ক শুরু হয় গত ১২ অক্টোবর। যুক্তিতর্ক শেষ হয় ২৩ অক্টোবর। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম দাবি করেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।

আসামি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামানের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন। তিনি যুক্তিতর্কে দাবি করেন, এই দুই আসামিকে মামলায় খালাস দেওয়া হোক। সাবেক আইজিপি মামুনের পক্ষে তাঁর আইনজীবী জায়েদ বিন আমজাদ খালাসের আবেদন করেন।

যুক্তিতর্ক শেষে ট্রাইব্যুনাল ২৩ অক্টোবর জানান, এই মামলার রায় কবে দেওয়া হবে তা ১৩ নভেম্বর জানানো হবে। সেই অনুযায়ী আজ ট্রাইব্যুনাল রায় ঘোষণার তারিখ (১৭ নভেম্বর) ধার্য করেন। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন