[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গণভোটের সময়সূচি নিয়ে দ্বিধা জামায়াতের, উদ্বেগ প্রশাসন নিয়ে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

জুলাই জাতীয় সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। তবে একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটের সিদ্ধান্তে আপত্তি রয়েছে দলের। দলটি এটাকে ‘সংস্কারকে গুরুত্বহীন করার ফাঁদ’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

জামায়াতের অভিযোগ, ভোটের সময়কার প্রশাসন নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রশাসনিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ দুর্বল করার চেষ্টা হচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার সকালে মগবাজারের আল–ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মাদ তাহের বলেন, সরকার লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে মনোযোগী নয়। সরকারের কিছু উপদেষ্টার সহযোগিতায় একটি বিশেষ দলের পক্ষ থেকে প্রশাসনকে দলীয় প্রশাসনে রূপান্তরের চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনে কিছু পরিবর্তন হচ্ছে এবং বিশেষ দলের অনুগত লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতসহ আট দল উপস্থিত ছিলেন। এ দলগুলো পাঁচ দফা দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে।

নায়েবে আমির বলেন, একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট হলে জাতীয় নির্বাচন বেশি গুরুত্ব পাবে। ফলে গণভোটের গুরুত্ব কমে যাবে। মানুষের মনোযোগের অভাবে ভোট কম পড়লে যারা সংস্কার চাইছে না, তারা বলবে, ভোট কম পড়েছে, জনগণ গণভোট চায়নি। এভাবে সংস্কার প্রক্রিয়া পিছিয়ে যাবে।

তিনি এটাকে ‘ফাঁদ’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বলেন, সরকার হয়তো ইচ্ছাকৃতভাবে বা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে একটি দলের ফাঁদে পা দিয়েছে এবং সংস্কারকে প্রায় গুরুত্বহীন করেছে।

তাহের বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টা দৃঢ় ছিলেন। বিএনপি কখনো আদেশের মাধ্যমে সনদের সাংবিধানিক ভিত্তি দেওয়ার পক্ষে ছিল না। তারা অধ্যাদেশের মাধ্যমে সংস্কার গ্রহণের প্রস্তাব দিয়েছিল। সেই দৃঢ়তার জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো যায়।

তবে সরকার সংস্কার কমিশনের সুপারিশ গ্রহণ না করে যথেষ্ট কাটছাঁট করেছে বলে অভিযোগ করেছেন তাহের। একটি দলের সঙ্গে আপস করে সুপারিশে পরিবর্তন আনা হয়েছে, যা জনগণকে হতাশ করেছে।

জামায়াতের নায়েবে আমির বলেন, গণভোটে কমিশন একটি প্যাকেজে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ ভোট নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। সরকার সেটিকে চার ভাগে ভাগ করেছে, যা জনগণকে সিদ্ধান্ত নিতে জটিলতার মধ্যে ফেলবে। বিএনপির নোট অব ডিসেন্টকে ‘অ্যাকোমোডেট’ করার জন্যই গণভোটের প্রশ্নকে চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

তাহের অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন তিনজন উপদেষ্টা। তারা ভুল তথ্য দিয়ে, একটি দলের হয়ে কাজ করে সরকারকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করতে না দেওয়ার চেষ্টা করছেন। প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের নাম পাঠানো হবে। এরপরও যদি পদক্ষেপ না নেওয়া হয়, সেই নাম প্রকাশের বিষয়ে ভাবা হবে।

সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ। উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফজলে বারী মাসউদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির ইউসুফ আশরাফ, খেলাফত মজলিসের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির মহাসচিব মুসা বিন ইযহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব ইউসুফ সাদিক হক্কানী, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির মুখপাত্র রাশেদ প্রধান ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব কাজী নিজামুল হক।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন