[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ঈশ্বরদীতে সংঘর্ষ: বিএনপির মামলায় জামায়াতের প্রার্থী প্রধান আসামি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ঈশ্বরদী থানার প্রধান ফটক | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

পাবনার ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের পর পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। বিএনপির মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে জামায়াতের মনোনীত এমপি প্রার্থী ও জেলা আমির অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলকে। একই ঘটনার জেরে দুই পক্ষই আলাদা বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

আজ রোববার সকালে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মামলায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একজন যুবক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার হলে জানা যাবে, সে কোন দলের।’

থানা সুত্রে জানা গেছে, বিএনপির মামলায় ৩২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলাটি করেছেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বাঁধন হাসান আলীম।

অন্যদিকে জামায়াতের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষক দলের আহ্বায়ক মক্কেল মৃধাকে। উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৫ জনের নাম উল্লেখ করেছেন এবং আরও দেড়শ থেকে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে অজ্ঞাত আসামি করেছেন।

এদিকে জামায়াতের প্রার্থীকে মামলার প্রধান আসামি করার প্রতিবাদে শনিবার বিকেলে ঈশ্বরদী শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়। রেলগেট এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে আলহাজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।

সেদিন সন্ধ্যায় সলিপুর ইউনিয়নের জয়নগর বোর্ডঘর মোড়ে বিএনপির উদ্যোগে কর্মিসভা হয়। সভা শেষে দলীয় নেতাকর্মীরা অধ্যাপক আবু তালেব মণ্ডলসহ মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল বের করেন।

উল্লেখ্য, পাবনা–৪ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে কাজ করছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান। জামায়াত মনোনীত প্রার্থী হিসেবে আছেন জেলা জামায়াতের আমির আবু তালেব মন্ডল। উপজেলার চরগড়গড়ি গ্রামে কয়েক দিন ধরে দুই পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। গেল কয়েক দিন আগে তাদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবারর বিকেলে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী এলাকায় গণসংযোগে যান। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে কথা–কাটাকাটি, হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কয়েকটি গুলি ছোড়া হয় এবং কিছু মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন