[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আগুন-ককটেল হামলাকারীকে গুলির নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাদ আলী | গ্রাফিক্স: পদ্মা ট্রিবিউন

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ বা ককটেল নিক্ষেপ করলে গুলি চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পাঁচ দিন আগে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার একই ধরনের নির্দেশ দিলে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছিল।

রোববার বিকালে বেতার বার্তায় কমিশনার এমন নির্দেশনা দিয়েছেন বলে ডিএমপির অপরাধ বিভাগের একজন উপকমিশনারসহ তিনজন কর্মকর্তা জানান। তবে তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি।

জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, 'আমি ওয়্যারলেসে বলেছি, কেউ বাসে আগুন দিলে বা ককটেল মেরে জীবনহানির চেষ্টা করলে তাকে গুলি করতে। এটা আমাদের আইনেও বলা আছে।'

জুলাই অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘনিয়ে আসায় ১০ থেকে ১৩ নভেম্বর বিক্ষোভ এবং ‘ঢাকা লকডাউন’ কর্মসূচি দেয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা থাকা আওয়ামী লীগ।

এই কর্মসূচি ঘিরে ১০ নভেম্বর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাসে ও ট্রেনে আগুন দেওয়ার এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

শেখ হাসিনার মামলার রায় সোমবার ঘোষণার দিন ধার্য করা হয়েছে। সেই দিনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ অনলাইনে রোববার থেকে দুই দিনের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

শনিবার রাত থেকেই ঢাকাসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ককটেল বিস্ফোরণ এবং বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে।

একজন উপকমিশনার বলেন, 'স্যারের মেসেজ ছিল, যদি কেউ পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করে এবং মোটরসাইকেলে পালানোর চেষ্টা করে, তাহলে গুলি করেও তাকে থামানো যায়।'

উপকমিশনার আরও বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে মাঠে কাজ করা পুলিশের নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে আছে। অতীতে এ ধরনের রাজনৈতিক জ্বালাও-পোড়াওয়ের সময় পুলিশকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে পুলিশ সদস্যদের মনোবল চাঙ্গা করার জন্য স্যার এমন নির্দেশনা দিতে পারেন।'

বিকেলে ডিএমপি সদর দপ্তরে গিয়ে দেখা যায়, কর্মকর্তাদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কক্ষে কয়েকজন কর্মকর্তা দণ্ডবিধির ৯৬ থেকে ১০৬ ধারার ব্যাখ্যা দেখাচ্ছিলেন, যেখানে আত্মরক্ষার ব্যক্তিগত অধিকারের কথা বলা হয়েছে।

দণ্ডবিধির ৯৬ ধারায় বলা আছে, 'ব্যক্তিগত প্রতিরক্ষার অধিকার প্রয়োগকালে কোনো কাজই অপরাধ নয়।' 

গত সপ্তাহে চট্টগ্রামে কয়েকটি ‘টার্গেট কিলিং’ ঘটার পর চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার হাসিব আজিজ অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দেন। ১১ নভেম্বর দুপুরে বেতার বার্তার মাধ্যমে এই নির্দেশ দেন সিএমপি কমিশনার।

পরদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) উদ্বেগ প্রকাশ করে। সংস্থাটি বলেছে, দেশের সংবিধান নাগরিকদের জীবনের অধিকার এবং আইনের আশ্রয় নিশ্চিত করে। সন্দেহভাজন অপরাধীকেও আইনি প্রক্রিয়া ছাড়া হত্যা বা গুলি চালানো ‘কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়’।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন