[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আটক বললে অবশ্যই ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে আনতে হবে: চিফ প্রসিকিউটর

প্রকাশঃ
অ+ অ-
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অলংকরণ: পদ্মা ট্রিবিউন

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়া ১৫ সেনা কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির করতেই হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাঁদের বিচার হবে যে আদালতে, সেখানে হাজির করাই আইনের বিধান।

আজ রোববার ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেন তাজুল ইসলাম। এর এক দিন আগে সেনাসদর সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, ১৫ জন কর্মকর্তা সেনাবাহিনীর হেফাজতে আছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, সেনাসদরের পক্ষ থেকে বিষয়টি এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রাইব্যুনালকে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এখনো কোনো সরকারি কাগজ আসেনি। শুধু মিডিয়ার খবর আমরা আমলে নিচ্ছি না। যদি আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয় যে আটক রাখা হয়েছে, তাহলে আইনের বিধান অনুযায়ী তাঁদের অবশ্যই আদালতে হাজির করতে হবে।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গত ৮ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের তিন মামলায় ২৫ সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন এখনো কর্মরত, বাকিরা অবসরপ্রাপ্ত। সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানান, ১৪ কর্মরত কর্মকর্তা ও এলপিআরে থাকা একজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-নির্যাতনের দুটি মামলা এবং জুলাই মাসের গণ-অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় হত্যাকাণ্ডের মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।

এ নিয়ে তাজুল ইসলামের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চান, সেনাবাহিনীর হেফাজতে থাকা কর্মকর্তারা কি গ্রেপ্তার হিসেবে গণ্য হবেন?

জবাবে তিনি বলেন, ‘সংবিধান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন এবং ফৌজদারি কার্যবিধি—সব আইনেই বলা আছে, যেখানেই গ্রেপ্তার করা হোক না কেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আদালতে হাজির করতেই হবে। এটা আইনের বিধান।’

বিষয়টি ব্যাখ্যা করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘এটি শুধু ট্রাইব্যুনালের আইন নয়, সংবিধানেও বলা আছে—গ্রেপ্তারের পর ২৪ ঘণ্টার বেশি কাউকে আটক রাখা যায় না। আদালত যদি কাউকে আটক রাখার অনুমতি দেন, তবেই তাঁকে আটক রাখা যাবে। যাঁকে যখন গ্রেপ্তার করা হবে, তখনই তাঁকে আদালতে হাজির করতে হবে। আদালত চাইলে তাঁকে আটক রাখতে পারেন, আবার জামিনেও ছেড়ে দিতে পারেন। অর্থাৎ, সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তখন আদালতের হাতে থাকে। এটিই আইনের বিধান।’

অন্যদিকে, সেনাসদরের সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছিল, সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও তারা তা এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে পায়নি। তবে তার আগেই চাকরিতে থাকা ওই কর্মকর্তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের কাছে কেউ ওই সেনা কর্মকর্তাদের আটক রাখার বিষয়ে কোনো ব্যাখ্যা চাননি। যদি চান, আমরা নিশ্চয়ই ব্যাখ্যা দেব।’ 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন