[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

আজ থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতির ঘোষণা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখছেন শিক্ষক নেতারা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের ‘হামলার’ প্রতিবাদ ও ভাতা বাড়ানোর দাবিতে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনের কথা থাকলেও আজ থেকেই শিক্ষক–কর্মচারীরা কর্মবিরতি পালন করবেন।

রোববার এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্য সচিব দেলওয়ার হোসেন আজিজী শহীদ মিনার থেকে এ ঘোষণা দেন।

এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া, ১ হাজার ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ও কর্মচারীদের ৭৫ শতাংশ উৎসব ভাতা দেওয়ার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রোববার সকাল থেকে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।

দুপুরে ওই কর্মসূচিতে ধাওয়া দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। একজন শিক্ষককে আটকের খবর পাওয়া যায়। এরপর শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষকেরা।

প্রেসক্লাবের সামনে রাস্তা থেকে আন্দোলনকারী শিক্ষক–কর্মচারীদের একজনকে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

এ বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, শিক্ষকদের বেশির ভাগই শহীদ মিনারে চলে গেছেন। যাঁরা যেতে চাননি, ঢিল ছুড়েছেন, এমন পাঁচ–ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁরা আটক নন, হেফাজতে আছেন। শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

এর আগে ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি পালনের কথা ছিল। তবে কর্মসূচি এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। আজ থেকেই কর্মবিরতি শুরু হবে বলে জানান আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক দেলওয়ার হোসেন আজিজী।

রোববার বিকেলে শহীদ মিনার থেকে তিনি বলেন, দাবি মেনে প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। পাশাপাশি কর্মবিরতিও চলবে।

দেলওয়ার হোসেন আজিজী বলেন, ‘আমরা সরকারকে সহযোগিতা ও আলোচনার মাধ্যমে দাবি আদায় করব। এত মানুষ নিয়ে প্রেসক্লাবে অবস্থান করা সম্ভব নয়। সোমবার থেকে ৩০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি চলবে। সারা দেশ থেকে শিক্ষক–কর্মচারীরা ঢাকায় আসবেন। শিক্ষকদের বলব, দু–একজন কর্মচারী দিয়ে প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন, তবে কোনো ক্লাস হবে না।’

আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোববার দুপুরে প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক থেকে সরে শহীদ মিনারে অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা। তখন আন্দোলনকারীদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারের দিকে যান।

প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা থেকে আন্দোলনকারীদের সরাতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

তবে আরেকটি পক্ষ প্রেসক্লাবের সামনেই অবস্থান চালিয়ে যেতে চায়। বেলা পৌনে ২টার দিকে প্রেসক্লাবের সামনে থাকা শিক্ষকদের সরাতে ধাওয়া দেয় পুলিশ। এ সময় কয়েকটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। পরে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান শিক্ষকেরা। বর্তমানে তাঁরাও শহীদ মিনারে অবস্থান নিয়েছেন।

এদিকে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বিকেলে শহীদ মিনারে যান জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জোষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, যুগ্ম সদস্য সচিব (শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক) ফয়সাল মাহমুদ শান্ত, যুগ্ম সদস্য সচিব জয়নাল আবেদীন শিশির প্রমুখ। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন