[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

চাল নিয়ে কারসাজির কারণে রাজশাহীতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাধ্যতামূলক অবসরে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামে নিয়মবহির্ভূতভাবে জেলার বাইরে থেকে চাল এনে ঢোকানো হচ্ছে। পাল্টানো হচ্ছে খাওয়ার অনুপযোগী চাল | ফাইল ছবি

রাজশাহীতে চাল নিয়ে কারসাজির অভিযোগে বাগমারা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (উপখাদ্য নিয়ন্ত্রক) চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে।

ওই ঘটনায় রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রককে (সরকারি খাদ্য নিয়ন্ত্রক) সাতক্ষীরায় বদলি করা হয়েছে। রাজশাহীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক)। উপসচিব জয়নাল মোল্লা স্বাক্ষরিত এক সরকারি আদেশে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।

গত বুধবার বাগমারার ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়ার আদেশে বলা হয়েছে, ‘তার চাকরিকাল বয়স ২৫ (পঁচিশ) বৎসর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন মর্মে বিবেচনা করে; সেহেতু সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮–এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাঁকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো।’

এদিকে এ ঘটনায় রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য কর্মকর্তা (সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক) ওমর ফারুককে সাতক্ষীরা জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক হিসেবে বদলি করা হয়েছে। রাজশাহীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সহকারী খাদ্য নিয়ন্ত্রক) মোহন আহমেদকে। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায়। নীতিমালা অনুযায়ী নিজ জেলা কোনো কর্মকর্তা এই দায়িত্ব পেতে পারেন না। তিনি একই সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও রাজশাহী জেলার ভারপ্রাপ্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক। গতকাল বৃহস্পতিবার এই আদেশে স্বাক্ষর করেন উপসচিব জয়নাল মোল্লা।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মঈন উদ্দিন বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ রাজশাহী শহরের সবচেয়ে কাছের জেলা। এ ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ ছোট একটি জেলা। এই দুই জেলার দায়িত্ব দূরের কোনো কর্মকর্তার চেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কর্মকর্তার পক্ষে পালন করা সহজ হবে। তাঁকে সাময়িকভাবে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক যোগ না দেওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন। এটা সাময়িক দায়িত্ব। তবে পূর্ণাঙ্গ দায়িত্ব নিয়ে যিনি আসবেন, তিনি নিজ জেলায় দায়িত্ব পাবেন না।

নিয়ম অনুযায়ী কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে চুক্তিবদ্ধ মিল মালিকদের দিয়ে চাল তৈরি করে সংগ্রহ করার কথা। কিন্তু রাজশাহীর খাদ্যগুদামে নিম্নমানের ও খাওয়ার অনুপযোগী চাল মজুত করে পরে কর্মকর্তারা তা নিজেরাই বদলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ধান ছাঁটাই, পরিবহন খরচসহ ভালো চালের ব্যয় দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। 

গত ৪ সেপ্টেম্বর বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুল ইসলাম খাদ্যগুদামে অভিযান চালান। সেখানে তিনি বিপুল পরিমাণ খাওয়ার অনুপযোগী চাল পান এবং তিনটি গুদাম সিলগালা করে দেন। পরে ভবানীগঞ্জ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাচ্চু মিয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়। এর আগে ২৬ আগস্ট জেলার দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিনও স্থানীয় খাদ্যগুদামে অভিযান চালিয়ে অনুপযোগী চাল উদ্ধার করেন। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ওই গুদাম থেকে ৮০ মেট্রিক টন চাল সরানো হয়। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন