ডিসেম্বরের মধ্যে ৩ টার্মিনালের দায়িত্বে বিদেশি অপারেটর
![]() |
| আজ রোববার ইআরএফ আয়োজিত সমদ্রগামী জাহাজ শিল্পের বিনিয়োগ সম্ভবনা শীর্ষক সেমিনারে উপস্থিত অতিথিদের একাংশ | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া ও নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের পানগাঁও টার্মিনাল বিদেশি অপারেটরের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ ইউসুফ। তিনি বলেন, ‘এসব টার্মিনাল ২৫ থেকে ৩০ বছরের জন্য বিদেশিদের হাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে চুক্তি হবে।’ বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে এ ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি।
নৌসচিব আরও বলেন, বিদেশিদের সঙ্গে টার্মিনালগুলো পরিচালনার যে চুক্তি হবে, প্রয়োজনে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে।
আজ রোববার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) মিলনায়তনে ‘সমুদ্রগামী জাহাজশিল্পের বিনিয়োগ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফের সভাপতি দৌলত আক্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সমুদ্রগামী জাহাজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আজম জে চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান জাইদী সাত্তার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে নৌপরিবহন সচিব বলেন, ‘পৃথিবীর কোথাও যেটা নেই, আমরা সেটা করছি—বন্দরের মধ্যে কনটেইনার খুলে পণ্য ছাড় করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম বন্দরের ১৩টি গেটের মধ্যে স্ক্যানিং মেশিন আছে মাত্র ৬টিতে। তার মধ্যে আবার ৩–৪টি নষ্ট থাকে। এভাবে বন্দর চলতে পারে না। তাই বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগের চেষ্টা করছি। এটা করতে পারলে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ৫ দশমিক ৩৬ মিলিয়ন টিইইউস কনটেইনার ওঠানো–নামানোর চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে হবে। তাই বিদেশি অপারেটর নিয়োগ ছাড়া উপায় নেই। ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ অনেক দেশেই এমন বিদেশি অপারেটর আছে।’

Comments
Comments