[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ভিক্ষা চাইতে ঢুকে প্রবাসীর স্ত্রীকে অজ্ঞান করে স্বর্ণালংকার লুট

প্রকাশঃ
অ+ অ-
অপরাধ | প্রতীকী ছবি

দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে ভিক্ষা চাইতে আসেন সাত নারী। বাড়িতে ঢুকেই কেউ পানি আবার কেউ শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি চান। কথা বলার এক ফাঁকে কৌশলে ওই গৃহবধূকে অচেতন করে স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যান তাঁরা।

ঘটনাটি ঘটেছে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে, কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাবেকগুলদি এলাকায়। ওই গৃহবধূর নাম শারমিন জান্নাত। এ ঘটনায় মামলা করার পর গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ দুপুর পর্যন্ত পৃথক অভিযানে এই চক্রের আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার হওয়া আটজনের মধ্যে সাতজন নারী। তাঁরা হলেন চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম সুবিদপুরের রেনু বেগম (৬০), তাঁর মেয়ে মুক্তা বেগম (৩৮), শ্রীকালিয়া গ্রামের রৌশন আরা বেগম (৬০), ফরিদগঞ্জ পৌরসভার কাছিয়াড়া গ্রামের গোলাপী বেগম (৫৮), তাঁর স্ত্রী রুবি বেগম (৩৭), একই এলাকার কাকলী বেগম (২৫) এবং কুমিল্লা জেলার বরুড়া পৌরসভার মনিপুর গ্রামের শেফালী বেগম (৪৫)। আরেকজন হলেন একই জেলার মতলব দক্ষিণ থানার নায়েরগাঁও গ্রামের সেলিম উদ্দিন (৪০)।

পুলিশ জানায়, রেনু বেগমের নেতৃত্বে আটজনের এই চক্রটি চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। সেখান থেকে তাঁরা সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চকরিয়া ও পেকুয়ার বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করতেন। কোনো নারীপ্রধান পরিবার বা যার স্বামী প্রবাসে থাকেন, এমন তথ্য পেলে তাঁরা কৌশলে পানি খেতে বা শৌচাগার ব্যবহারের অজুহাতে ঘরে ঢুকতেন। এরপর সুযোগ বুঝে গৃহবধূকে অজ্ঞান করে তাঁর স্বর্ণালংকার লুট করে নিতেন।

পেকুয়া থানার ওসি মোহাম্মদ সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ভিক্ষার আড়ালে চুরির কাজ করত এই চক্রটি। সদস্যরা নারী হওয়ায় তাঁরা সহজেই যেকোনো বাড়িতে প্রবেশ করতে পারতেন। সুযোগ পেলেই গৃহবধূকে অজ্ঞান করে স্বর্ণ, নগদ টাকা ও অন্যান্য দামি জিনিস লুট করতেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন