৪০০ ব্যালটে সই না থাকার অভিযোগ
৪০০ ব্যালটে সই না থাকার অভিযোগ
![]() |
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের একটি কক্ষে ভোট দিচ্ছেন এক ভোটার। আজ বুধবার দুপুরে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ কেন্দ্রে নির্বাচন কর্মকর্তার সই ছাড়া অনেক ব্যালট বাক্সে জমা পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিনির্মাণ শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তৌহিদুল ইসলাম।
আজ বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ৪০০টি ব্যালট পেপারে সই ছিল না। এটি অনিয়ম।’ ব্যালট পেপারেও নির্বাচনী কর্মকর্তার স্বাক্ষরের ঘর রয়েছে।
নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ভোটের দিনের নির্দেশিকাতেও ব্যালট পেপারে নির্বাচনী কর্মকর্তার স্বাক্ষর করার বিধি রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ৩৩৬ নম্বর কক্ষে দায়িত্বরত সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কাউসার হামিদ বলেন, ‘শুরুতে ব্যালটে সই করার নির্দেশনা ছিল না। অভিযোগ পাওয়ার পর ব্যালটে সই করা হচ্ছে।’
এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘কেন্দ্রে প্রার্থীদের পোলিং এজেন্টরা ছিলেন। তাঁদের উপস্থিতিতে এসব ব্যালটে শিক্ষার্থীরা ভোট দিয়েছেন। আমাদের দায়িত্বে থাকা কক্ষে ৫০টির মতো ব্যালট হতে পারে। অন্য কক্ষের বিষয়ে আমি জানি না।’
প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ৮০ জন এবং প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ১৬ জনের মতো ভোটার সইবিহীন ব্যালটে ভোট দিয়েছেন। সই ছাড়া ব্যালটের তালিকা করতে বলা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ তালিকা পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমার ভোট গোপন থাকছে না, বললেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটার গোলাম কিবরিয়া
![]() |
চাকসু ভবনের সামনে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটার গোলাম কিবরিয়া। আজ বুধবার দুপুরে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ভোট দেওয়ার প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ বলে অভিযোগ করেছেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোটার গোলাম কিবরিয়া। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে আমরা ৭৬ জন ভোটার দাবি জানিয়ে আসছিলাম, যাতে ব্রেইল পদ্ধতিতে আমাদের ভোট দিতে পারি। তবে কমিশন অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে ভোটের ব্যবস্থা করেছে। এতে আমার ভোট গোপন থাকছে না।’
আজ বুধবার দুপুরে চাকসু ভবনের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এসব অভিযোগ জানান গোলাম কিবরিয়া। চাকসু ভবনের ভোট দিতে এসে পরিস্থিতি দেখার পর তিনি এসব কথা বলেন।
এই ভোটার বলেন, ‘অনেক দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ভোট দিয়েছেন। তাঁদের অভিজ্ঞতা ভালো নয়। আমি এখনো ভোট দিইনি। অন্য একজনকে সঙ্গে নিয়ে কীভাবে ভোট দেব তা নিয়ে ভাবছি।’
নির্বাচন কমিশনের সদস্যসচিব এ কে এম আরিফুল হক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ভোটের ব্যবস্থা করেছি। গোপন কক্ষে একজন সহায়তাকারী নিয়ে তাঁরা ভোট দিচ্ছেন। এত কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
সাড়ে চার ঘণ্টায় ভোট পড়ল ৪০ শতাংশ: নির্বাচন কমিশন
![]() |
ভোট দিতে সারিতে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুরে ব্যবসায় অনুষদ ভবনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের সাড়ে চার ঘণ্টা শেষ হয়েছে বেলা ২টায়। এই সময়ে ভোট পড়েছে প্রায় ১১ হাজার, মোট ভোটের প্রায় ৪০ শতাংশ।
নির্বাচন কমিশনার জি এইচ হাবীব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় ভোট শুরুর কথা ছিল। তবে শুরু হয়েছে সকাল সাড়ে ৯টায়।
চাকসুতে এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন। নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৬ পদে লড়ছেন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও একটি হোস্টেলে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯৩ জন।
সন্তানকে কোলে নিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন রেশমা
![]() |
শিশুকে কোলে নিয়ে দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ভোট দিলেন রেশমা আক্তার। আজ বুধবার দুপুরে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রেশমা আক্তারের কোলে ২০ মাস বয়সী শিশুসন্তান। শিশুকে রেখেই ভোট দিতে আসতে চেয়েছিলেন। তবে কান্নাকাটি করায় শিশুকে কোলে নিয়েই এসে দাঁড়ান ভোটারদের লাইনে।
দুই ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকেন । এরপর ভোট দেওয়ার সুযোগ পান তিনি। আজ বুধবার বেলা একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি বুথে ভোট দেন রেশমা আক্তার।
ভোট শেষে কক্ষ থেকে বেরিয়ে রেশমা আক্তার বলেন, ‘বেলা এগারোটায় এসে লাইনে দাঁড়িয়েছি। ভোট দিতে পেরেছি একটায়। সন্তানকে কোলে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে কষ্ট হয়েছে। তবু ভোট দিতে পেরে আমি খুশি। আমার সঙ্গে আমার ২০ মাসের সন্তান রাফায়েত আবদুল্লাহও ইতিহাসের সাক্ষী হলো’।
রেশমা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের স্নাতকোত্তর শ্রেণির শিক্ষার্থী।
প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ১২টা পর্যন্ত ২১% ভোট পড়েছে
![]() |
ভোট দিতে এসেছে এই শিক্ষার্থী। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২১ শতাংশ। কেন্দ্রটির মোট ভোটার ৪ হাজার ৩৬ জন। এর মধ্যে ৮৫৩ জন ভোট দিয়েছেন।
দুপুর সোয়া ১২টার দিকে নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. জাফর উল্লাহ তালুকদার এ তথ্য জানিয়ে বলেন, বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতিও বাড়ছে। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে।
প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন সোহরাওয়ার্দী হলের শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের শিক্ষার্থীরা সাধারণত এ হলে আসন বরাদ্দ পান।
অমোচনীয় কালি ব্যবহার হয়নি, নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলো: ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী
![]() |
চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন। আজ বুধবার, চাকসু ভবনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে, তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে—এ অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনির উদ্দিন।
আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় চাকসু ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে মনির উদ্দিন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। তারা জানিয়েছে, জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য সাধারণত জার্মানি থেকে অমোচনীয় কালি আনা হয়। নির্বাচনের পরে তা আবার ধ্বংসও করা হয়। ফলে অমোচনীয় কালি পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই।’
এক ঘষাতে কালি উঠে যাওয়া প্রসঙ্গে চাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এটি কোনো সমস্যার সৃষ্টি করবে না। কারণ, কয়েক ধাপে ভোটারদের পরিচয় শনাক্ত করা হচ্ছে।’
আইটি অনুষদের ভোট কেন্দ্রে ১২টি সইবিহীন ব্যালট পাওয়ার বিষয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি ভুলবশত হয়েছে। ১২টি ব্যালট আলাদা করে কেন্দ্রের দায়িত্বে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা সই করবেন।’
আজ সকাল ৯টা থেকে চাকসু ও হল সংসদের ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও আধা ঘণ্টা দেরিতে তা শুরু হয়। এ বিষয়ে অধ্যাপক মনির উদ্দিন বলেন, ‘ভোটগ্রহণ সকাল ৯টাতেই শুরু হয়েছে। যদিও কোনো কোনো কেন্দ্রে ১০-১৫ মিনিট এদিক-সেদিক হয়েছে।’
ওএমআরে ভোট গণনা হবে, সময় নষ্ট হবে না: সহউপাচার্য
![]() |
বিজ্ঞান অনুষদে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতার (মাঝখানে), সহউপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন (বাঁয়ে) ও শামীম উদ্দিন খান (ডানে)। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য মো. কামাল উদ্দিন (প্রশাসন) সাংবাদিকদের বলেছেন, ওএমআরে ভোট গণনা হবে, অযথা সময় নষ্ট হবে না।
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ফলাফল ঘোষণার চেষ্টা করা হবে বলে জানান কামাল উদ্দিন।
আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মুহাম্মদ ইয়াহইয়া আখতারের সঙ্গে ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের সময় বিজ্ঞান অনুষদে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় সহউপাচার্য শামীম উদ্দিন খানও (শিক্ষা) উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা ভোট গ্রহণের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন।
অমোচনীয় কালি ব্যবহার হয়নি, নিরপেক্ষতা নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলো: ছাত্রশিবিরের ভিপি প্রার্থী
![]() |
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন। আজ বুধবার সকালে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাকসু নির্বাচনে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী মো. ইব্রাহীম হোসেন ভোট দিয়েছেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে ভোট দেন।
ভোট দেওয়া শেষে মো. ইব্রাহীম হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম অমোচনীয় কালি ব্যবহার করতে। কিন্তু সেটি করা হয়নি। এ কালির মধ্যে দিয়ে নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে একটা শঙ্কা তৈরি হলো’। তিনি আরও বলেন, ‘ভোট গ্রহণ খুবই ধীর গতিতে হচ্ছে। এ কারণে, আমরা জানতে পেরেছি, সমাজবিজ্ঞান অনুষদে কয়েকটা ভোট পড়েছে। শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে এসে ফিরে যাবে, এর চেয়ে দুঃখের বিষয় প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের কাছে থাকতে পারে না।’
ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এই ভিপি প্রার্থী আরও বলেন, ‘একটি কক্ষে পোলিং কর্মকর্তার সই ছাড়া ভোট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। কোনোভাবেই নির্বাচন কমিশন এত বেশি অসচেতন ভূমিকা রাখতে পারেন না। আবার ছাত্র না, এমন অনেকেই পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এটা সবার জানা দরকার’।
শিক্ষার্থীদের রায় মেনে নেব, তবে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া দুঃখজনক: ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী
![]() |
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবনে ভোট দিচ্ছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের ভিপি প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তোলা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চাকসু নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রে তিনি ভোট দেন।
ভোট দেওয়া শেষে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আমাদের যে রায় দেবেন, আমরা তা মেনে নেব। জয়-পরাজয় যেটিই হোক, আমরা অতীতে যেভাবে শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলাম সেভাবেই থাকব। তবে যে প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণ হচ্ছে সেটি দুঃখজনক’।
সাজ্জাদ হোসেন আরও অভিযোগ করেন, ‘ ভোট শেষে একজন ভোটারের আঙুলে দাগ দেওয়া হচ্ছে। তবে সে দাগ উঠে যাচ্ছে। এতে একজনের একাধিক ভোট দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে তা আমরা জানতে চাই’।
আঙুলের অমোচনীয় কালি উঠে যাচ্ছে, অভিযোগ ছাত্রদলের জিএস প্রার্থীর
![]() |
বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদে ভোট দেন ছাত্রদল প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন। আজ বুধবার সকাল ১০টায়। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস প্রার্থী মো. শাফায়াত হোসেন অভিযোগ করেছেন, ভোটারের আঙুলে অমোচনীয় যে কালি দেওয়া হচ্ছে তা এক ঘষাতেই উঠে যাচ্ছে।
আজ বুধবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ৩১২৪ নম্বর কক্ষে ভোট দিয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
মো. শাফায়াত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, পরিস্থিতি এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ। মাত্র একটি ট্রেন ক্যাম্পাসে এসেছে। বেশি শিক্ষার্থী দেখা যাচ্ছে না। তবে বেলা গড়ালে শিক্ষার্থীরা হয়তো ভোট দিতে আসবেন।
কালি উঠে যাওয়ার বিষয়টি শাফায়াত ঘটনাস্থলে থাকা নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমদকে জানান। নির্বাচন কমিশনার মমতাজ উদ্দিন এ বিষয়ে শাফায়াতকে বলেন, কালি উঠে গেলেও শিক্ষার্থীদের নাম তালিকা থেকে কেটে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোনো সমস্যা হবে না।
‘প্রথম ভোট দিলাম, দারুণ লাগছে’
![]() |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবনে (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) ভোট দিয়ে আনন্দিত রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পায়েল মুহুরী। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস ভবনে (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ) ভোট দিয়েছেন রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী পায়েল মুহুরী। তিনি বলেন, ‘আমি রাউজান থেকে এসেছি। অন্যান্য দিন ক্লাস করার জন্য এলেও আজ ভোট দিতে এলাম। প্রথম ভোট দিলাম, দারুণ লাগছে।’
পায়েল আরও বলেন, ‘ক্যাম্পাসে থাকা অবস্থায় এমন নির্বাচন হচ্ছে। সত্যিকারের উৎসব মনে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত তো পরিবেশ সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ মনে হচ্ছে। আশা করছি নির্বাচনের মাধ্যমে যোগ্য প্রার্থী পাব আমরা।’
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে ভোট দিয়ে চারুকলা ইনস্টিটিউটের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাবিহা আবছার নামের আরেক ভোটার বলেন, ‘জীবনে প্রথম ভোট দিয়েছি। তাও একসঙ্গে ৪০ টি। ভোটার হলেও জাতীয় কিংবা স্থানীয় নির্বাচনে ভোট দেওয়ার পরিবেশ ছিল না। তাই চাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে।’
তাঁর পাশে ভোটার সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘পরীক্ষার প্রস্তুতির মতো ভোট দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিয়েছি, যারা ছাত্রদের কল্যাণের জন্য কাজ করবে।’
ভোট দিলেন দ্রোহ পর্ষদের ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী
![]() |
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ কেন্দ্রে ভোট দেন ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও ছাত্রফ্রন্ট (বাসদ)-সমর্থিত প্যানেল দ্রোহ পর্ষদের ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে ভোট দিয়েছেন ছাত্র ইউনিয়ন (একাংশ) ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের (বাসদ) সমন্বয়ে গঠিত যৌথ প্যানেল ‘দ্রোহ পর্ষদ’–এর ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবন কেন্দ্রের দ্বিতীয় তলায় ভোট দেন তিনি।
ভোট দেওয়ার পর ভিপি প্রার্থী ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি এখনো কম। তবে আশা করছি ভোটাররা আসবেন। এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক। সারা দিন একই পরিস্থিতি থাকুক, এটিই প্রত্যাশা।’
তবে ভোটারদের জন্য পর্যাপ্ত পরিবহন ব্যবস্থা রাখা হয়নি জানিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ঋজু লক্ষ্মী অবরোধ। তিনি বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ কারণে ভোটাররা ভোগান্তিতে পড়েছেন। মূল ফটক থেকে বিভিন্ন অনুষদ ভবনে যে শিক্ষার্থীরা যাবেন, এর কোনো ব্যবস্থা প্রশাসন করেনি। এর আগেও আমরা নানান অব্যবস্থাপনা দেখেছি।’
চাকসু নির্বাচনে লাইনে ভোটাররা
![]() |
ভোট দেওয়ার আগে এক ভোটারের হাতের আঙুলে কালি লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। আজ বুধবার সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রকৌশল অনুষদ ভবনে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৯টায় শুরু হওয়ার কথা থাকলেও সাড়ে ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ভোট দিতে এসে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা।
এবার পাঁচটি অনুষদ ভবনে ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন প্যানেলের কর্মী-সমর্থকেরা অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদ ভবনের কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম শরিফুজ্জামান বলেন, নির্দেশনা মোতাবেক সাড়ে ৯টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত ভোট চলবে।
তবে কেউ ভোট দেওয়ার জন্য চারটার আগে লাইনে দাঁড়ালে তাঁকে ভোট দিতে সুযোগ দেওয়া হবে।
চাকসু নির্বাচনে লাইনে ভোটাররা
![]() |
ভোট দিতে সারিতে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটি অনুষদে। আজ বুধবার সকালে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটাররা।
আজ বুধবার সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে বিকেল চারটা পর্যন্ত। ভোট দেওয়ার জন্য সারিতে দাঁড়িয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে প্রথমবারের মতো ছাত্র সংসদে ভোট নিয়ে উচ্ছ্বসিত তাঁরা।
এবার পাঁচটি অনুষদ ভবনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রের সামনে বিভিন্ন প্যানেলের কর্মী সমর্থকেরা অবস্থান করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদ কেন্দ্রের সামনে কথা হয় পদার্থবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলমগীর ও মোহাম্মদ এজাজুল হকের সঙ্গে। দুই শিক্ষার্থীই বলেন, চাকসু নির্বাচন নিয়ে অনেকদিন ধরে অপেক্ষায় ছিলেন।
আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, প্রচারে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল। ভোট গ্রহণের দিনেও তা অব্যাহত থাকবে বলে আশা তাঁর।
চাকসুতে এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ১৫৬ জন।
ভোটারের পরিচয়পত্র দেখছেন
![]() |
এক ভোটারের পরিচয়পত্র দেখছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাকর্মীরা। আজ বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাটাপাহাড় এলাকায়। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
শাটল ট্রেনে ক্যাম্পাসে ভোট দিতে এল শিক্ষার্থীরা
![]() |
শাটল ট্রেনে চাকসু নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছে শিক্ষার্থীরা। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী পারমিতা চক্রবর্তী বলেন, ‘এত দিন ক্লাস-পরীক্ষার জন্য ক্যাম্পাসে আসতাম। আজ এলাম ভোটার হিসেবে ইতিহাসের সাক্ষী হতে।’
![]() |
ভোটের দিনের প্রথম শাটল ট্রেন এসে পৌঁছেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রেল স্টেশনে। আজ বুধবার সকাল ৮টা ২০ মিনিটে। ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
আজ বুধবার চাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট দিতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। আর কিছুক্ষণ পরেই ভোটগ্রহণ শুরু হচ্ছে।
ভোট দিতে সকালের প্রথম ট্রেনে ক্যাম্পাসে এসেছেন হাজারো শিক্ষার্থী। সকাল ৭টা ২০ মিনিটে চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে এই ট্রেন ক্যাম্পাসের উদ্দেশে রওনা দেয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে পৌঁছায় সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে। এরপর শাটল থেকে নেমে শিক্ষার্থীরা রওনা দেন অনুষদ ভবনগুলোতে। পাঁচটি অনুষদে ভোট নেওয়া হবে।
এবার ভোটার প্রায় ২৭ হাজার ৫১৬ জন। এর মধ্যে ছাত্রী সংখ্যা ১১ হাজার ১৫৬। নির্বাচনে লড়তে প্রার্থী হয়েছেন ৯০৮ জন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৬ পদে লড়ছেন ৪১৫ প্রার্থী। একই সঙ্গে ১৪টি হল ও ১টি হোস্টেলে প্রার্থী হয়েছেন ৪৯৩ জন।
কেন্দ্রীয় সংসদে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ২৪ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ২২ জন ও সহসাধারণ সম্পাদক পদে ২২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন