[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

শ্রীপুরে অভিযানে গিয়ে অবরুদ্ধ র‍্যাবের সদস্যরা, চার ঘণ্টা পর উদ্ধার

প্রকাশঃ
অ+ অ-
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের পর অবরুদ্ধ হন র‍্যাবের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

গাজীপুরের শ্রীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ ছিলেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) সদস্যরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তার আল হেরা হাসপাতালের পাশে দুটি দোকানে অভিযান চালানোর সময় এ ঘটনা ঘটে। পরে বেলা তিনটার দিকে অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে র‍্যাবের সদস্যদের উদ্ধার করে শ্রীপুর থানা-পুলিশ।

বেলা পৌনে তিনটায় সরেজমিনে দেখা যায়, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য। তাঁরা র‌্যাব ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। মাওনা চৌরাস্তার মাওনা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কের আল হেরা হাসপাতালের সামনের সড়কের এক পাশের লেনে র‌্যাবের গাড়িগুলো রাখা। গাড়িগুলো ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন লোকজন। তাঁরা কিছুক্ষণ পরপর র‌্যাবের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁদের থামানোর চেষ্টা করছেন র‌্যাবের কয়েকজন সদস্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে ওই এলাকার মো. মারুফের মালিকানাধীন বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ ও মো. সোহেল রানার মালিকানাধীন একটি কসমেটিক পণ্যের সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সঙ্গে ছিলেন বিএসটিআই কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। তাঁরা সেখানে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ কর্তৃপক্ষকে তিন লাখ ও সোহেল রানাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন। অভিযানের সময় প্রচুর মালামাল জব্দ করলেও বিএসটিআই কর্তৃপক্ষ তাদের কোনো তালিকা দেয়নি বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রায় ২০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছেন অভিযানকারী দলে থাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও বিএসটিআইয়ের লোকজন। তাঁদের দাবি, জব্দ করা কসমেটিক পণ্যের বিপরীতে কাগজপত্র দেখালেও তাঁরা তা না মেনে অবৈধ পণ্য রাখার দায় দিয়ে জব্দ ও জরিমানা করেন।

ব্যবসায়ী মো. মারুফ বলেন, তাঁরা অভিযানে এসে কারও কথা না শুনে ইচ্ছেমতো পণ্য জব্দ করা শুরু করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অভিযানকারী দলের মধ্যে একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি ওই প্রতিষ্ঠানগুলোতে মালামাল সরবরাহ করতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু মানসম্মত পণ্য না হওয়ায় তা রাখা হয়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ব্যক্তি বিএসটিআই ও র‌্যাব কর্তৃপক্ষকে উসকে দিয়ে অভিযান চালাতে সহযোগিতা করেছেন।’

অভিযানের সময় উপস্থিত একটি বহুজাতিক পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মো. মিজানুর রহমান বলেন, তাঁদের কাছ থেকে বৈধ পণ্য নিয়ে পরিবেশকেরা ব্যবসা করছেন। এসব পণ্য অবৈধ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পণ্য ক্রয়ের রসিদ না পেয়ে এভাবে পণ্য নিয়ে গেলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন।

গাজীপুরের সহকারী পুলিশ সুপার (কালিয়াকৈর সার্কেল) মো. মেরাজুল ইসলাম বেলা সাড়ে তিনটায় বলেন, ‘তারা (র‌্যাব) অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমি ওসিকে সেখানে পাঠিয়েছিলাম। ওসি জানিয়েছেন, র‍্যাবের সদস্যরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিলেন। এ সময় সেখানে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে র‌্যাব সদস্যদের ভুল–বোঝাবুঝি হয়। স্থানীয় ব‌্যবসায়ীরা তাঁদের আটকে রাখেন। বিশেষ করে অভিযানের সময় দুজন সিভিল লোক থাকা নিয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষুব্ধ হন। পরে পুলিশ ব্যবসায়ীদের বুঝিয়ে র‍্যাব সদস্যদের নিয়ে যান। এ সময় সিভিল অবস্থায় থাকা দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলতে র‍্যাব-১-এর গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট নাফিজ বিন জামালের দাপ্তরিক মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন