[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক | ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক–কর্মচারীদের চলমান আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ও সংহতি জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। একই সঙ্গে ১২ অক্টোবর আন্দোলনরত শিক্ষক–কর্মচারীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, ইউনেসকোর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশ কখনোই ৫.৫ শতাংশ শিক্ষা বরাদ্দ দেয়নি। চব্বিশের গণ–আন্দোলনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শিক্ষায় বরাদ্দ আগের চেয়ে কমিয়েছে। সরকার ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করলেও সেখানে শিক্ষা সংস্কারে কোনো কমিশন নেই।

শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলো (শিক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়) ইতিবাচক মনোভাব না পোষণ করলে তা নতুন রাজনৈতিক সংকট তৈরি করতে পারে বলে সতর্ক করেছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক। সংগঠনটি মনে করে, শিক্ষক–কর্মচারীদের উত্থাপিত তিনটি দাবি ন্যায্য। অবিলম্বে তা মানার জন্য সরকারকে আহ্বান জানানো হয়েছে।

শিক্ষকদের তিনটি দাবি হলো—মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ১,৫০০ টাকা থেকে দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানো।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক মনে করে, এই দাবিগুলো বর্তমান সময়ের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে ও মূল্যস্ফীতিতে জীবনযাপনের জন্য অতি সামান্য। তারা উল্লেখ করেছে, সরকারি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা যেখানে মূল বেতনের ৪০–৪৫ শতাংশ বাড়িভাড়া পান, সেখানে বেসরকারি শিক্ষকেরা মাত্র হাজার টাকার বরাদ্দ পান। এই ব্যবস্থাকে সংগঠনটি বেসরকারি শিক্ষকদের প্রতি অবমাননা ও পুরো জাতির জন্য লজ্জাজনক বলে মনে করছে। ফলে শিক্ষকরা শিক্ষকতায় পূর্ণ মনোযোগ দিতে পারছেন না এবং প্রাইভেট পড়ানো, কোচিং ও দলীয় রাজনীতিসহ অন্যান্য অশিক্ষকসুলভ কাজে জড়াচ্ছেন।

বিবৃতিতে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়েছে—চলতি অর্থবছরে শিক্ষক–কর্মচারীদের বাড়িভাড়া ১০ শতাংশ বৃদ্ধি এবং আগামী অর্থবছরে আরও ১০ শতাংশ বাড়ানোর নিশ্চয়তা, চিকিৎসা ভাতা ন্যূনতম দেড় হাজার টাকা নির্ধারণ এবং উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা।

সঙ্গে আগামী অর্থবছর থেকে শিক্ষা খাতে জিডিপির ৩ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করা ও তা পর্যায়ক্রমে ৪ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া আন্দোলনরত শিক্ষক–কর্মচারীদের ওপর পুলিশি নির্যাতনের তদন্ত করে দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন