[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

নাচ-গান নিয়ে সংঘর্ষ, নেত্রকোনায় পূজা কমিটি আক্রান্ত

প্রকাশঃ
অ+ অ-

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলায় একটি মণ্ডপের পূজা কমিটির লোকজনের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের পর ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা চেয়ার-টেবিল। বুধবার রাত দেড়টার দিকে মাঘান সিয়াধার ইউনিয়নের খুশিমুল গ্রামের হরি মন্দিরসংলগ্ন পূজামণ্ডপে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার খুশিমুল গ্রামের একটি সর্বজনীন দুর্গামন্দিরে গভীর রাতে নাচ-গান করতে নিষেধ করায় পূজা কমিটির লোকদের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। ঘটনা ঘটে বুধবার রাত দেড়টার দিকে মন্দিরসংলগ্ন পূজামণ্ডপে।

আহতরা হলেন খুশিমুল যুব সংঘ পূজা কমিটির সভাপতি অমিত দাস, সদস্য অজয় দাস, আকাশ দাস, অনন্ত দাস, সুমন দাস, সত্যজিৎ চক্রবর্তী, পরিতোষ দাস ও অনিক দাস। তারা সকলেই খুশিমুল গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, ‘খুশিমুল যুব সংঘ’ আয়োজিত পূজামণ্ডপে রাত ১২টা পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছিল। এরপর পূজা কমিটি অনুষ্ঠান শেষ ঘোষণা করে। এ সময় পাশের পেরীরচর ও সিয়াধার গ্রামের ১৫-২০ জন যুবক সাউন্ডবক্সে গান বাজিয়ে নাচতে চাইলে কমিটি তাদের রাতে নাচানো বন্ধ করতে বলেন। প্রথমে দুইটি গান বাজিয়ে তারা নাচার অনুমতি পান। কিন্তু পাঁচটি গান বাজানোর পরও আরও নাচার দাবি জানালে, রাত দেড়টা হয়ে যাওয়ায় আয়োজকরা তাদের মেনে নেননি।

এরপর কয়েকজন যুবক মণ্ডপের দিকে এগিয়ে গেলে চারজন আনসার সদস্য ও গ্রামবাসী প্রতিহত করেন। এই সময় তর্কের এক পর্যায়ে যুবকেরা হামলা চালান। এতে কমিটির সদস্য ও গ্রামবাসীসহ আটজন আহত হন। তাদের মোহনগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।

হামলাকারীরা মন্দিরে কমপক্ষে ১৫টি প্লাস্টিকের চেয়ার এবং দুটি টেবিল ভাঙচুর করে। তারা মন্দিরসংলগ্ন দুই ব্যক্তির বাড়িতে ইটপাটকেল ছুঁড়ে, খুশিমুল বাজারের কিছু দোকানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আয়োজক কমিটির কয়েকজন জানান, হামলাকারীদের মধ্যে তাঁরা কয়েকজনকে চিনেছেন। তাদের মধ্যে সিয়াধার গ্রামের দুর্জয় ইসলাম, মেহেদী হাসান ও পেরীরচর গ্রামের মুন্না মিয়া, অন্তর মিয়া, আকাশ, রানা ও আজিজুল ইসলাম রয়েছেন। হামলাকারীদের বয়স ২২–২৫ বছরের মধ্যে।

ঘটনার পর মোহনগঞ্জ থানার ওসি আমিনুল ইসলাম ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারা বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হবে। পরবর্তীতে মন্দির এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

ওই তরুণ-যুবকদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোনে কথা বলেননি। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, ঘটনার পরপরই তারা গা ঢাকা দিয়েছেন।

পুলিশ সুপার মির্জা সায়েম মাহমুদ বলেন, মন্দিরে কোনো হামলা বা প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিকর প্রচারণা চলছে। নাচানাচিতে বাধা দেয়ায় কিছু যুবক উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করেছে। তাদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পাশাপাশি পূজা কমিটিকে প্রয়োজন হলে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন