আগুন নেভাতে বাধা ছিল বাতাস, কারণ জানা যাবে তদন্তের পর: ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক
![]() |
| রাত সোয়া ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মুহাম্মদ জাহেদ কামাল আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। ১৮ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে লাগা আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে। এ কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল। তিনি বলেন, ‘আগুন আর বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন শুধু নির্বাপণের কাজ চলছে। ডমেস্টিক ফ্লাইট ইতিমধ্যে চালু হয়েছে।’
শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সের সামনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মহাপরিচালক।
তিনি আরও বলেন, আগুন নেভাতে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল বাতাস। খোলা জায়গায় প্রচুর বাতাস থাকায় অক্সিজেনের সরবরাহ বজায় থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে গেছে। তাই অনেক জায়গায় ধোঁয়া দেখা গেছে, যদিও নিচের অংশে আগুন কম ছিল।
মুহাম্মদ জাহেদ কামাল বলেন, ‘কার্গো কমপ্লেক্সের ভেতরের অংশ খোপ খোপ করা। প্রতিটি খোপ পরিষ্কার করে আগুন নেভাতে হয়েছে। খোলা জায়গার কার্গোতে আগুন সহজেই লেগেছিল। বাতাসের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে। তবে এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। দ্রুততম সময়ে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু করা হয়েছে।’
কার্গো কমপ্লেক্সে কোনো রাসায়নিক ছিল কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে এলে এটা বলা সম্ভব হবে, এখন বলা যায় না।’
আগুনের ঘটনা ঘটেছে শনিবার বেলা সোয়া দুইটায়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিট সেখানে কাজ করেছে। এই বাহিনীর ভাষায়, আগুন ছড়িয়ে পড়া বন্ধ হলে বলা হয় নিয়ন্ত্রণে, পুরোপুরি নেভানো হলে বলা হয় নির্বাপণ।
শাহজালাল বিমানবন্দরের পোস্ট অফিস ও হ্যাঙ্গারের মাঝামাঝি কার্গো ভিলেজে আগুন লেগেছে আমদানির কার্গো কমপ্লেক্স ভবনে। এটি বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেটের পাশে, যা হ্যাঙ্গার গেট নামে পরিচিত। কমপ্লেক্সে মোট তিনটি গেট আছে, আগুন লেগেছে উত্তর দিকে, ৩ নম্বর গেটের পাশে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন