[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

রাকসু নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীদের ‘হারু পার্টি’

প্রকাশঃ
অ+ অ-
রাকসু নির্বাচনে নির্বাচিতদের জবাবদিহি ও সহযোগিতা করার লক্ষ্যে বিজিত প্রার্থীরা ‘হারু পার্টির’ আয়োজন করেছে। শনিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাশ বাংলাদেশ মাঠে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু), হল সংসদ ও সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীদের একাংশের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে ‘হারু পার্টি’র (বনভোজন)। শনিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শাবাশ বাংলাদেশ মাঠে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে ছাত্রদল, বাম জোট–সমর্থিত প্যানেলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও অংশ নেন।

আয়োজকেরা জানান, চারটি লক্ষ্য নিয়ে এ আয়োজন করা হয়েছে—রাকসুর নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা, তাঁদের কাজের গঠনমূলক সমালোচনা করা, রাকসু যেন কোনো দল বা মতের প্রভাবমুক্ত থাকে সে দিকে নজর রাখা এবং দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কল্যাণে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।

অনুষ্ঠানের শুরুতে ছিল পরিচয় পর্ব। এরপর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য দেন অনেকে। রাত পৌনে নয়টার দিকে প্রতিবেদন লেখার সময় মাঠে খেলাধুলা, সেলফি তোলা চলছিল। অনেকেই তখন স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘হারু পার্টি, সবাই মিলে হারু পার্টি’, ‘তুমি কে আমি কে, রাবিয়ান, রাবিয়ান।’ আয়োজকেরা জানান, অনুষ্ঠানে খাবারের আয়োজনসহ আরও কিছু পর্ব রয়েছে। এতে নবনির্বাচিত জিএস সালাহউদ্দিন আম্মারকে অংশ নিতে দেখা গেছে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি।

অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে ছাত্রদল–সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন বলেন, ‘আমরা পরাজিত হলেও এখনো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ। আমাদের উদ্দেশ্য হলো, বিজয়ীরা যেন তাঁদের ইশতেহার বাস্তবায়ন করেন। সে জন্য তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে—এই দায়িত্ব আমাদের।’

নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ)-এর উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘শ্রদ্ধেয় বড় ভাই জাহিদ বলেছিলেন, আমরা যেই বিজয়ী হই না কেন, একসঙ্গে কাজ করব। তিনি যেন তাঁর কথা রাখেন—এই আহ্বান জানাচ্ছি। তাঁরা যদি তাঁদের ইশতেহার ও প্রতিশ্রুতি থেকে একচুলও সরে যান, আমরা সবাই মিলে তাঁদের জবাবদিহি নিশ্চিত করব।’

স্বতন্ত্র এজিএস প্রার্থী শাহ পরাণ লিখন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম ক্যাম্পাসের স্বপ্ন নিয়ে। আমরা হেরে গেলেও হারিয়ে যাইনি—এই আয়োজন তারই প্রমাণ। বিজয়ীরা তাঁদের ভাবনা বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা পাবে। তবে তাঁরা যদি পথভ্রষ্ট হন, একচুলও ছাড় পাবে না—সেটাও আজ জানিয়ে দিচ্ছি।’

হারু পার্টিতে ছাত্রদল, বামদল–সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরাসহ বিভিন্ন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অংশ নেন। নাচে–গানে পুরো অনুষ্ঠান জমিয়ে তোলেন তাঁরা | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

নবনির্বাচিত ভিপি মোস্তাকুর রহমানের সঙ্গে বিজিতদের সঙ্গে কাজ করার বিষয়ে জানতে হোয়াটসঅ্যাপে কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে রাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীদের ম্যান্ডেট অনুযায়ী কাজ করব। বিজিতদের পরামর্শ ও সহযোগিতা নিয়ে এই ক্যাম্পাস গড়ে তুলতে চাই।’

৩৫ বছর পর বৃহস্পতিবার রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে সব মিলিয়ে ৯০২ জন প্রার্থী অংশ নেন। নির্বাচনে রাকসুর ২৩টি পদের মধ্যে ভিপি, এজিএসসহ ২০টি পদে জয়ী হন ছাত্রশিবির-সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থীরা।

বাকি তিন পদের মধ্যে জিএস পদে জয়ী হয়েছেন ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাহউদ্দিন আম্মার, ক্রীড়া ও খেলাধুলা সম্পাদক পদে ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের মোছা নার্গিস খাতুন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী তোফায়েল আহমেদ তোফা।

এ ছাড়া ১৭টি হল সংসদের ভিপি, জিএস ও এজিএস পদেও ছাত্রশিবিরের প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। সিনেট ছাত্র প্রতিনিধির পাঁচটি পদের মধ্যে তিনটিতে তাদেরই জয়ী হয়েছেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন