মসুর ডালের দাম বেড়েছে ২০ টাকা
![]() |
মসুর ডাল | ফাইল ছবি |
বাজারে সরু মসুর ডালের সরবরাহ কিছুটা কমে যাওয়ায় এই দাম বাড়তে শুরু করেছে। মসুর ডালের অনেকটাই আমদানি হয়, কিন্তু ব্যবসায়ীরা বলছেন, এইবার আমদানি আগের মতো হচ্ছে না। অন্যদিকে সবজি, মাছ ও মাংসের দাম বাড়ায় ডালের চাহিদাও বেড়েছে। এসব কারণে দাম বেড়েছে।
এ সময় অন্যান্য খাবারের দামও বেশি। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৮০–১৯০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩০০–৩২০ টাকা এবং এক ডজন ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সবজির কেজি দামও প্রায় ৮০ টাকার কাছাকাছি। মাছের দামও আগের তুলনায় বেশি। এ কারণে সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষরা ডাল খেতে বেশি মন দিচ্ছেন।
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট, টাউন হল বাজার, কাঁঠালবাগান বাজার ও কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, চারটি বাজারেই ছোট দানার মসুর ডাল দেড় মাস আগে থেকে ২০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্য ডালগুলোর দামও সামান্য বেড়েছে।
তবে মোটা দানার মসুর ডালের দাম বাড়েনি। এটি এখন প্রতি কেজি ১০০–১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দামও কিছুটা বেড়েছে। প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা, ছোলার ডাল ১২০–১২৫ টাকায় এবং অ্যাংকর ডাল ৭০–৭৫ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের এক জেনারেল স্টোরের বিক্রেতা মো. জুয়েল বলেন, 'পাইকারি বাজারে শুধু মসুর ডালের দাম বেড়েছে। অন্যান্য ডালের দাম সামান্য ওঠানামা করলেও এখন আগের দরে বিক্রি হচ্ছে।'
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের এক মুদিদোকানের বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'পাইকারি বাজারে ছোলা ও অ্যাংকর ডালের দাম বাড়েনি। তবে মসুর ডালের দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা এসব ডালের দাম কিছুটা বাড়িয়ে বিক্রি করছেন।'
অন্যদিকে মুগ ডালের দাম কমেছে। দেড় মাস আগে ভালো মানের এক কেজি মুগ ডাল বিক্রি হয়েছিল ১৭০–১৭৫ টাকায়, এখন তা ১৬০–১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা সাধারণ মানের মুগ ডালের দাম আরও কম, কেজি ১২০ টাকা।
সরকারি সংস্থা টিসিবি জানায়, গত এক মাসে সরু মসুর ও ছোলার দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য ডালের দাম অপরিবর্তিত। তবে গত বছরের তুলনায় সরু মসুর ডালের দাম এখন ১৭ শতাংশ বেশি। এক বছর আগে এ ডালের কেজি দাম ছিল ১৩০–১৩৫ টাকা।
বাংলাদেশ ডাল ব্যবসায়ী সমিতির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নেসার উদ্দিন খান বলেন, 'গত দুই মাসে ডাল আমদানির পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সবজির দাম বেশি থাকার কারণে মসুর ডালের চাহিদাও বেড়েছে। এতে বাজারে সরবরাহের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আবার কমে আসবে।'
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন