[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও এতিমখানার সুপারকে আসামি করে দুদকের মামলা

প্রকাশঃ
অ+ অ-
মাদারীপুর জেলার মানচিত্র

মাদারীপুরে একটি এতিমখানার অন্তত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমাজসেবা কর্মকর্তা ও এতিমখানার সুপারকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক সাইদুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার আসামিরা হলেন মাদারীপুরের সাবেক শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা শ্যামল পাণ্ডে ও হজরত শাহ মাদার (র.) দরগাহ শরিফ এতিমখানার সুপার মোহাম্মদ আল-আমিন। শ্যামল বর্তমানে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে সমাজসেবা কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

দুদকের অভিযানে গত ১৫ জুলাই মাদারীপুর পৌর এলাকার দরগাহ শরিফ সংলগ্ন এতিমখানায় ভ্রাম্যমাণ তদন্ত চালানো হয়। এ সময় দুদকের সদস্যরা এতিমখানার মোহতামিম আল-আমিনসহ সংশ্লিষ্ট শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সাক্ষাৎকার নেন। সরকারি বরাদ্দ, ছাত্রসংখ্যা এবং আর্থিক লেনদেন যাচাই-বাছাই করার পর ব্যাপক অনিয়ম ধরা পড়ে।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত সরকারি হিসাব অনুযায়ী ১৪৫ জন এতিম শিশুর জন্য মাসে ২ হাজার টাকা হারে প্রায় ২ কোটি ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে এতিমখানায় মাত্র ৪০ জন শিক্ষার্থী আছে। এছাড়া সুপার আল-আমিনের বিরুদ্ধে ৪৭ লাখ টাকার স্থায়ী আমানত জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে উত্তোলনের অভিযোগও রয়েছে।

মামলায় দুদক উল্লেখ করে, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও এতিমখানার সুপার একত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তারা প্রকৃত এতিমের সংখ্যা গোপন করে অতিরিক্ত ক্যাপিটেশনগ্র্যান্ট দাবি করেছেন। ৪ বছরে তারা ৪৩ লাখ ২০ হাজার টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ এবং জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৪৭ লাখ টাকার এমএমপিডিআর, অনুদানকৃত ১০ লাখ ৯৯ হাজার ৯১৭ টাকা মিলিয়ে মোট ১ কোটি ১ লাখ ১৯ হাজার ৯১৭ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

মামলা রেকর্ডকারী কর্মকর্তা ও দুদকের উপসহকারী পরিচালক শ্যামল চন্দ্র সেন বলেন, ‘দুই আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১, ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫ (২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের অভিযানের পর কমিশন থেকে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে আজ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এখনো তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি। তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ হলেই আসামিদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন