[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

খাগড়াছড়িতে সহিংসতায় ৩ মামলা, আসামি হাজারের বেশি

প্রকাশঃ
অ+ অ-

খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার এলাকায় গত রোববার আগুন দেওয়া হয় বেশ কিছু ঘরবাড়িতে। সোমবার সকালেও কিছু ঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া উড়তে দেখা যায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

খাগড়াছড়ির গুইমারা উপজেলায় একটি পাহাড়ি কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগের পর গত সপ্তাহে বিক্ষোভ ও সহিংসতার ঘটনায় পুলিশ চার দিন পরে তিনটি মামলা করেছে। বুধবার রাতেই গুইমারা থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়।  তিনটি মামলাতেই পুলিশ বাদী হয়েছে।

পুলিশ জানায়, মামলার মধ্যে একটি সরকারি কাজে বাধা দেওয়া, সরকারি কর্মচারী আহত করা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে। এতে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আরেকটি মামলা হত্যার অভিযোগে করা হয়েছে, যেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা আসামি করা হয়েছে, কারণ নিহতদের পরিবার কেউ মামলা করতে রাজি হয়নি।

অন্যদিকে খাগড়াছড়ি সদরেও ১৪৪ ধারা ভাঙার, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার ও সহিংসতার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

গুইমারা থানার ওসি মো. এনামুল হক বলেন, জেলাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন আছে এবং গোয়েন্দা নজরদারিও চলমান।

একটি ভবনের নিচে পড়ে আছে আগুনে পুড়ে যাওয়া কয়েকটি মোটরসাইকেল। সোমবার সকালে গুইমারার রামেসু বাজার এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

এদিকে খাগড়াছড়ি সদর ও গুইমারায় ১৪৪ ধারা এখনো বহাল থাকলেও আজ জেলার যানবাহন ও মানুষের চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সাপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় বাজারে লোকজনের ভিড় দেখা গেছে। জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক মনে হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী চাইলে ধারা তুলে দেওয়া হবে।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় খাগড়াছড়িতে প্রাইভেট পড়া শেষে ফেরার পথে কিশোরীটি ধর্ষণের শিকার হন। রাত ১১টার দিকে তাকে অচেতন অবস্থায় একটি খেত থেকে উদ্ধার করে পরিবার। রাতেই খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন সে হাসপাতাল ছেড়ে চলে যায়। পুলিশের দাবি, শয়ন শীল নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ধর্ষণের অভিযোগের প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতার ব্যানারে গত শনিবার খাগড়াছড়িতে অবরোধ হয়। এর পর তিন পার্বত্য জেলায় অবরোধের ডাক দেয় সংগঠনটি। রোববার গুইমারার রামেসু বাজারে বিক্ষোভ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে তিনজন মারা যান। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।  রামেসু বাজারে অর্ধশত বসতবাড়ি ও ৪০টির মতো দোকানে আগুন দেয়া হয়।

খাগড়াছড়ির কিশোরীর শারীরিক পরীক্ষায় ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায়নি বলে মেডিকেল বোর্ড জানিয়েছে। তবে এই প্রতিবেদনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন কিশোরীর বাবা।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন