[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

সুনামগঞ্জে যাদুকাটা নদীতে বালু চোরদের জন্য বাঁশের বেড়া

প্রকাশঃ
অ+ অ-
সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর তীর কেটে বালু লুট বন্ধে বাঁশের বেড়া দেওয়া হচ্ছে। রোববার বিকেলে নদীর লাউড়েরগড় এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

সুনামগঞ্জের যাদুকাটা নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন ঠেকাতে নতুন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বালুমহালের ইজারাদারের পক্ষ থেকে নদীর তীরে বাঁশের বেড়া দেওয়া হচ্ছে, যাতে নৌকা বা বাল্কহেড পাড় থেকে বালু তুলতে না পারে।

গত রোববার বিকেল থেকে লাউড়েরগড় এলাকায় বেড়া দেওয়ার কাজ শুরু হয়। সোমবারও কাজ চলছে। এক সপ্তাহ ধরে তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এই এলাকায় নদীর পাড় কেটে বালু তোলার ঘটনা ঘটছিল। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর জেলা প্রশাসন অবৈধ বালু উত্তোলন ঠেকাতে টাস্কফোর্স গঠন করে। বিভিন্ন সময়ে অভিযান ও জরিমানা করা হলেও বালু লুট বন্ধ হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, যাদুকাটা নদীতে জেলার সবচেয়ে বড় দুটি বালুমহাল রয়েছে। মামলাসংক্রান্ত জটিলতায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর চলতি মাসে বালু উত্তোলন শুরু হয়। তবে ইজারার সীমানার বাইরে গিয়ে লাউড়েরগড় এলাকায় জোর করে বালু তোলার চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে স্থানীয়রা বিক্ষোভ ও পাহারা দিয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বেশি লাভের আশায় কিছু ব্যক্তি নদী তীরবর্তী জমি বিক্রি করছেন। প্রভাবশালী একটি চক্র এসব জমি কিনে বালু বিক্রি করছে। সরকারি জমি থেকেও বালু তোলার অভিযোগ রয়েছে। নদীর পাড় কেটে বালু তোলায় আশপাশের গ্রাম ও স্থাপনা ঝুঁকির মুখে পড়েছে। পূর্বপাড়ের লাউড়েরগড় গ্রাম এবং পশ্চিমপাড়ের শিমুলবাগান ও ঘাগটিয়া গ্রাম এখন ঝুঁকিতে রয়েছে।

প্রশাসন সূত্র জানায়, যাদুকাটা নদীর দুটি বালুমহাল এবার প্রায় ১০৭ কোটি টাকায় ইজারা হয়েছে। মামলাসংক্রান্ত জটিলতা কেটে গেলে চলতি মাসে প্রশাসন বালুমহাল ইজারাদারদের বুঝিয়ে দিলে বালু উত্তোলন শুরু হয়।

বালুমহালের ইজারাদার শাহ রুবেল আহমদ বলেন, নদীর পাড় কাটা বন্ধ হোক, সেটিই তাঁদের চাওয়া। কিন্তু স্থানীয় কিছু মানুষ টাকার লোভে নিজের জমি বিক্রি করেন। পরে অন্যরা এসব জমি কিনে বালু বিক্রি করে। তিনি বলেন, 'আমাদের বদনাম হচ্ছে। নদীর পাড় কেটে বালু তোলা বন্ধ করতে আমরা অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্পের আবেদন করেছি। বাধ্য হয়ে নদীর তীরে বাঁশের বেড়া দিচ্ছি।'  

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া জানান, বালুমহাল ইজারাদারকে বুঝিয়ে দেওয়ার পর কিছু লোক মিলে অবৈধভাবে নদীর তীর কেটে বালু তোলার চেষ্টা করেছিল। এ ঘটনা ঠেকাতে টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এতে বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রয়েছেন। এছাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসনের একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ক্রমে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, 'নদী ও এলাকায় ক্ষতি করে কেউ অবৈধভাবে বালু তুলতে পারবে না। ইজারাদারকেও সব নিয়ম মেনে কাজ করতে হবে।' 

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন