নওগাঁয় অন্তঃসত্ত্বাকে মারধরের অভিযোগ ইউএনওর বিরুদ্ধে
![]() |
| দুই নারীকে মারধরের অভিযোগে নওগাঁর ধামুইরহাটে ইউএনওর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর মানববন্ধন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
নওগাঁর ধামুইরহাটে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহরিয়ার রহমান ও ধামুইরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালামের বিরুদ্ধে অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন করেন স্থানীয়রা এবং অভিযুক্তদের শাস্তি ও ইউএনওর অপসারণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, উপজেলার মঙ্গলকোঠা আবাসিক এলাকায় ধামুইরহাট পৌরসভার ময়লা-আবর্জনা ফেলা নিয়ে মঙ্গলবার সকালে পৌরসভার লোকজনের সঙ্গে এলাকাবাসীর বাগ্বিতণ্ডা হয়। ময়লা ফেলতে বাধা দেওয়ার খবর পেয়ে ইউএনও শাহরিয়ার রহমান ও পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম ঘটনাস্থলে যান। এ সময় ওই দুই কর্মকর্তা প্রকাশ্যে মঙ্গলকোঠা এলাকার এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ দুই নারীকে মারধর করেন।
গৃহবধূ সামিরন খাতুন বলেন, 'আমাদের এলাকা থেকে ময়লা ফেলা বন্ধ করতে ইউএনওর কাছে অনুরোধ করলেও তিনি তা না শুনে আমাকে এবং অন্তঃসত্ত্বা মিতুকে লাঠি দিয়ে মারেন। আমরা ইউএনওর অপসারণসহ কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।'
স্থানীয় আবদুল কুদ্দুস বলেন, 'ইউএনও আমার গর্ভবতী স্ত্রীর ওপর হাত তুলেছেন। এমন আচরণ দেখিয়ে একজন ইউএনও কীভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, তা আমরা জানি না। বিচার কাদের কাছে পাবো?'
ইউএনও শাহরিয়ার রহমান জানান, 'পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা একটি খাস জমিতে ময়লা ফেলছিলেন। সেখানে কয়েকজন বাধা দিয়ে গালমন্দ করেন। আমি বিষয়টি সমাধান করতে গিয়ে সেখানে গিয়ে কিছু লোক আমার সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। নারীদের মারধরের অভিযোগ ভিত্তিহীন, কিছু স্বার্থান্বেষী মহল মিথ্যা প্রচারণা চালাচ্ছে।'
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল জানান, 'মানববন্ধনের পর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জেলা প্রশাসনের মধ্যস্থতায় বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক।'

Comments
Comments