[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পিআর সিস্টেম সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে ইসরায়েল: বিএনপি নেতা রিপন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে যুবদল আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন 

আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের সমালোচনা করে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান রিপন বলেছেন, ‘পিআর সিস্টেম সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে ইসরায়েল। যারা গাজায় মুসলমান শিশু ও মানুষ হত্যা করেছে, সেই খুনি নেতানিয়াহুর সবচেয়ে প্রিয় বিষয় এই পিআর সিস্টেম। ইহুদিদের ওই পিআর সিস্টেমটা আমাদের ভালো লাগবে কেন? ওই উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক শক্তির নির্বাচন পদ্ধতি বাংলাদেশের মানুষ কোনো সময়ই মেনে নেবে না।’

সোমবার বিকেলে খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা মাঠে উপজেলা ও পৌর যুবদল আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন রিপন।

জামায়াতে ইসলামীর দিকে ইঙ্গিত করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি দল এখন শুধু পিআর পিআর করছে, কিন্তু তারা এই পদ্ধতি কী তা বোঝেই না। পিআর হলে প্রার্থী দেওয়ার সুযোগ থাকে না—দলকেই ভোট দিতে হয়, প্রার্থীকে নয়। ভোটের অনুপাতে দল সংসদে প্রতিনিধি পাঠায়, জনগণের সঙ্গে এমপিদের কোনো সরাসরি সম্পর্ক থাকে না। ফলে জনগণ তাঁদের নির্বাচিত প্রতিনিধির কাছে গিয়ে দুঃখ–দুর্দশার কথা বলতে পারে না। পিআর একধরনের হাওয়াই সিস্টেম। অথচ যারা পিআর চায়, তারাই আবার প্রতিটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে পোস্টার লাগাচ্ছে। আসলে তারা পিআর নয়, ঝামেলা চায়।’

আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখন অন্য দলের ছায়ায় আশ্রয় নিতে চাইছে উল্লেখ করে রিপন বলেন, তাঁদের আশ্রয় দেওয়া যাবে না। সুযোগ পেলে বিষধর সাপের মতো তারাই প্রথমে আঘাত করবে। বিএনপি জনগণের শক্তিতে, দুর্বৃত্তদের ছাড়াই বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগ না থাকলেও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন উঠবে না বলে মনে করেন রিপন। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, তখন মুসলিম লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল, কারণ তারা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল। তবু নির্বাচন গ্রহণযোগ্য ছিল। একইভাবে যদি আওয়ামী লীগকে এখন নিষিদ্ধ করা হয়, তাহলেও নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। কারণ, জনগণই গণতন্ত্রের আসল উৎস।

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারকে দিয়ে ভারত অনেক লাভবান হয়েছে উল্লেখ করে রিপন বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলতেন, “ভারতকে এত কিছু দিয়েছি তারা সারা জীবন মনে রাখবে”। জনগণকে না দিয়ে অন্য দেশকে দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না—তার প্রমাণ শেখ হাসিনার পতন। আওয়ামী লীগের ক্ষমতার উৎস জনগণ নয়, ছিল ভারত। তাদের নেতারা নিজের মুখেই বলতেন, “আমরা আছি তো দিল্লি আছে, দিল্লি আছে তো আমরা আছি”। কিন্তু আমরা বলি, জনগণ আছে, তাই আমরা আছি। কারণ আমরা জনগণের পক্ষের শক্তি।’

পাইকগাছা উপজেলা যুবদলের সভাপতি তহিদুজ্জামানের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ও সদস্যসচিব শেখ আবু হোসেন (বাবু)।

সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন খুলনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোমরেজুল ইসলাম, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক ইবাদুল হক রুবায়েদ, সদস্যসচিব নাদিমুজ্জামান, পাইকগাছা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবদুল মজিদ ও পৌর বিএনপির সভাপতি আসলাম পারভেজ প্রমুখ।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন