ফুটবল খেলার ঘটনায় রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আট শিক্ষার্থী বহিষ্কার
![]() |
| শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠক শেষে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের তথ্য জানান রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. শওকত আলী | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন |
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ফুটবল খেলা নিয়ে সংঘর্ষে তিন বিভাগের শিক্ষার্থীরা জড়িয়ে পড়েছেন। মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষে শ্রেণিকক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং চার শিক্ষার্থী আহত হন। পরে রাত সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির জরুরি বৈঠকে আট শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।
উপাচার্য মো. শওকাত আলী সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, জিরো টলারেন্স নীতিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত এবং দোষীদের চিহ্নিত করতে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ইলিয়াছ প্রামাণিক আহ্বায়ক ও প্রক্টর ফেরদৌস রহমান সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জেন-জি ফুটবল টুর্নামেন্টের সেমিফাইনালে মার্কেটিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার অপুর সঙ্গে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে মীমাংসা হলেও সোমবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন চকবাজার এলাকায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিসংখ্যান বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে মারধর করেন। এ ঘটনার জেরে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
রাত সাড়ে নয়টার পর বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থীরা দফায় দফায় স্লোগান দেন। একপর্যায়ে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা সমাজবিজ্ঞান বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর চালান, এবং পরিসংখ্যান ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা সংঘর্ষে অংশ নেন। এতে চার শিক্ষার্থী আহত হন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমান, রেজিস্ট্রার হারুন অর রশীদ ও ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ইলিয়াস প্রামাণিকসহ তিন বিভাগের শিক্ষকেরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন, কিন্তু ব্যর্থ হন। একপর্যায়ে উপাচার্য মো. শওকাত আলী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন মার্কেটিং বিভাগের ২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের সাফায়েত হোসেন, শাহরিয়ার অপু, সজীব, সৌরভ, নাজমুস সাকিব, রোহান সরকার, জিহাদ এবং ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের আশরাফুল ইসলাম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন