[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, অভিযোগ ধর্ষণ মামলার আলামত নষ্ট

প্রকাশঃ
অ+ অ-

ধর্ষণ | প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় এক কিশোরীকে ধর্ষণের মামলায় আলামত নষ্টের অভিযোগে পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। তিনি ওই মামলার সাবেক তদন্ত কর্মকর্তা ও ধুনট থানার সাবেক ওসি ছিলেন।

পুলিশ কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধু বালা ও মামলার প্রধান আসামি মুরাদুজ্জামান ওরফে মুকুলের (৫৪) বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। মুরাদুজ্জামান ধুনট উপজেলার একটি কলেজের শিক্ষক। কৃপাসিন্ধু বর্তমানে গাজীপুর শিল্প পুলিশের সঙ্গে যুক্ত।

বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘মামলার তৎকালীন তদন্ত কর্মকর্তা কৃপাসিন্ধুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের আলামত নষ্ট করার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। এজন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’ মুরাদুজ্জামান বর্তমানে উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে আছেন।

মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীর মা বলেন, ‘মূল আসামিকে শাস্তি থেকে বাঁচাতে কৃপাসিন্ধু বালা আসামির কাছ থেকে মোটা অঙ্কের উৎকোচ নিয়ে আলামত নষ্ট করেছিলেন।’ পরে থানা ও ডিবি পুলিশ মামলার তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ২৪ মার্চ ২০২৪ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা সবুজ আলী।

ভুক্তভোগীর মা অভিযোগপত্র প্রত্যাখ্যান করে পুনঃতদন্ত চেয়ে আবেদন করেন। আদালত ১৫ আগস্ট মামলাটি পুনঃতদন্ত করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। এরপর পিবিআইয়ের তিন তদন্তকারী কর্মকর্তা বদলের পর পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এজাহারে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে মুরাদুজ্জামান একটি বাসা ভাড়া নিয়ে স্ত্রী-সন্তানসহ থাকতেন। দশম শ্রেণির কিশোরীকে একা পেয়ে তিনি ধর্ষণ করেন এবং ছবি তুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল আবার ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে পালিয়ে যায়। পরে অশালীন ছবি ছড়িয়ে দিলে মেয়েটির মা ১২ মে মামলা করেন।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন