[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম ইপিজেডের আগুন

প্রকাশঃ
অ+ অ-
আজ সকাল ৭টা ২৫ মিনিটের দিকে নিয়ন্ত্রণে আসে কারখানায় লাগা আগুন। তবে এর এক ঘণ্টা পরও সেখান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। আজ সকালে সিইপিজেড এলাকায় | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (সিইপিজেড) এলাকার একটি কারখানায় লাগা আগুন প্রায় সাড়ে ১৭ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল ৭টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ২টার দিকে সিইপিজেডের সাততলা কারখানা ভবনে আগুন লাগে।

সকাল আটটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট কাজ করেছে। ইউনিটগুলো এখনো ঘটনাস্থলে রয়েছে।

গতকাল বেলা দুইটার দিকে ইপিজেড এলাকার অ্যাডামস ক্যাপস অ্যান্ড টেক্সটাইল লিমিটেড ও জিহং মেডিকেল কোম্পানির গুদামে আগুন লাগে। অ্যাডামস তোয়ালে ও ক্যাপ তৈরি করে, আর জিহং মেডিকেল সার্জিক্যাল গাউন তৈরি করে। সাততলা ভবনের সাততলায় দুটি কারখানার গুদাম ছিল। সেখান থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো সাততলা ভবনে। রাতে কারখানার ভেতর থেকে ছোট ছোট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

আগুনের তাপ এত বেশি ছিল যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাছে যেতে পারেননি। দূর থেকে এক পাশ দিয়ে পানি ছিটিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন তাঁরা। আগুন পাশের একটি তিনতলা ভবনেও ছড়িয়ে পড়ে। সিইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও কারখানার মালিকপক্ষ জানায়, ভেতরে কোনো শ্রমিক আটকে ছিলেন না, সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে দেখা যায়, আগুনের তাপে ভবনটির ১০০ মিটার পর্যন্ত কেউ যেতে পারছেন না। তীব্র তাপে ভবনের ছাদ ধসে পড়ছে। আগুনের ফুলকি চারদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আশপাশের ভবনে পানি ছিটিয়ে আগুন ছড়িয়ে পড়া রোধের চেষ্টা করছেন। চারপাশে ভিড় করেছেন উৎসুক মানুষ। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সরিয়ে নিচ্ছেন। উদ্ধার কাজে দুই প্লাটুন বিজিবিও অংশ নিয়েছে।

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন গতকাল রাতে বলেন, আগুনের তাপের কারণে কারখানার কাছে যাওয়া যাচ্ছিল না। আগুন নেভানোর পাশাপাশি তা ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। ভেতরে দাহ্য পদার্থ থাকায় আগুন নেভাতে বেগ পেতে হচ্ছে সদস্যদের।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন