বুড়িগঙ্গায় প্রতিমা বিসর্জনে কড়া নিরাপত্তা, ভক্তদের ভিড়
শারদীয় দুর্গাপূজার বিজয়া দশমী উপলক্ষে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দেবী দূর্গার আরাধনা। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকার বীণা স্মৃতি স্নানঘাটে ধানমন্ডি থানার দুর্গামন্দিরের প্রতিমা বিসর্জন কার্যক্রম শুরু হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মহানগর পূজা উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে সদরঘাট টার্মিনালের পাশে অস্থায়ী বিসর্জন মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে। নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশের কন্ট্রোল রুম, ঘাট ও নদীর তীরে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ঘাটের বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া নদীতে নৌ পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ট্রলার ও স্পিডবোটে টহল দিচ্ছে। বিকেল থেকেই ভক্ত ও দর্শনার্থীরা প্রতিমা বিসর্জন দেখতে ঘাটে ভিড় করছেন।
কেন্দ্রীয় ঘাট কমিটির কর্মকর্তা রজত কুমার সুর জানান, ঢাকেশ্বরী মন্দির থেকে শোভাযাত্রা হিসেবে বের হওয়া প্রতিমা বিকেলে বীণা স্মৃতি ঘাটে পৌঁছাবে। প্রতিটি প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে, যাতে দর্শনার্থীরা নিরাপদে এই আধ্যাত্মিক মুহূর্ত উপভোগ করতে পারেন।
পুরান ঢাকার হাজারীবাগ থেকে আসা সবিতা রানী বলেন, 'প্রতিবছর পরিবারের সঙ্গে এখানে আসি। এটি আমাদের কাছে বিশেষ দিনের স্মৃতি।'
নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ওসি মো. সোহাগ জানিয়েছেন, 'বুড়িগঙ্গা নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ ও আনসার সকল গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে মোতায়েন আছে। একাধিক ট্রলার ও স্পিডবোটে নদীতে টহল জোরদার করা হয়েছে। বিসর্জন কার্যক্রম মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে।'
এদিকে নদীর ওপারে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আগানগর ইউনিয়নের নাগরমহল ঘাটেও আরেকটি বিসর্জন মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পূজা উদ্যাপন কমিটির সভাপতি অনুপ কুমার বর্মণ বলেন, 'কেন্দ্রীয় ঘাটের পাশাপাশি কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার প্রতিমা সন্ধ্যা ৬টার পর বুড়িগঙ্গায় আনা হয়। প্রতিটি বিসর্জন নিরাপদ ও স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করতে আমরা বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছি।'
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন