[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

পেট্রোবাংলার ফটক অবরোধ, প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন হুমকি দেওয়ার

প্রকাশঃ
অ+ অ-
পেট্রোবাংলা ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন | ছবি: ফাইজার মো. শাওলীন 

পেট্রোবাংলা ও এর সহযোগী প্রতিষ্ঠানে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা দ্রুত নিয়োগপত্র দেওয়ার দাবিতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় অবরোধ করেছেন। আজ রোববার বেলা তিনটা থেকে শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে এই কর্মসূচি চলে। শতাধিক প্রার্থী পেট্রোবাংলার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানান। এর আগে বেলা তিনটার দিকে তারা একই স্থানে সংবাদ সম্মেলনও করেন।

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, মাঠপর্যায়ের সব কাজ শেষ হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় নিয়োগপ্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হচ্ছে। প্রশাসন ক্যাডারের এক সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থী বলেন, ‘সব মিলিয়ে ৬০০ জনের বেশি প্রার্থী নিয়োগের জন্য অপেক্ষা করছেন। ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় দেরি হয়েছে। যাদের ভেরিফিকেশন শেষ, তাদের অন্তত মেডিকেল পরীক্ষা শুরু করা উচিত। এতে সময় বাঁচবে। একাধিকবার দ্রুত নিয়োগের আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে আমরা সেই প্রতিশ্রুতি দেখতে পাচ্ছি না।’

সংবাদ সম্মেলনে প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, মাঠপর্যায়ের সব কাজ শেষ হলেও প্রশাসনিক জটিলতায় নিয়োগপ্রক্রিয়া দীর্ঘ হচ্ছে | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন  

সংবাদ সম্মেলনের পর চাকরিপ্রত্যাশীরা পেট্রোবাংলার ফটক অবরোধ করে অবস্থান নেন। বিকেল চারটার দিকে পেট্রোবাংলার পরিচালক (প্রশাসন) এস এম মাহবুব আলম আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। প্রার্থীরা অভিযোগ করেন, তিনি তাদের ‘ব্যবস্থা নেওয়ার’ হুমকি দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রার্থী বলেন, ‘তিনি আমাদের এখান থেকে চলে যেতে বলেন। না গেলে ব্যবস্থা নেবেন বলে হুমকি দেন। আমার নাম ও রোলও জানতে চান।’

এস এম মাহবুব আলম জানান, ‘সরকারি চাকরিজীবীদের আচরণবিধি মেনে চলা উচিত। তাঁরা এখন নিয়োগের দ্বারপ্রান্তে। যাঁরা কিছুদিন পর অফিসার হবেন, তাঁদের কাছ থেকে এমন আচরণ কাম্য নয়। আমি শুধু এই কথাগুলোই বলেছি। কাউকে হুমকি দিইনি।’ নিয়োগপ্রক্রিয়ার অগ্রগতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এনএসআই রিপোর্ট প্রস্তুত হলেও এখনো মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের কাছে আসেনি। আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে ভেরিফিকেশন শেষ করে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করতে পারব।’

পেট্রোবাংলা ২০২৪ সালের ৫ মার্চ কারিগরি, সাধারণ ও অর্থ ক্যাডারে ৬৭০টি পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এর মধ্যে কারিগরি ক্যাডারের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি, অর্থ ক্যাডারের ২৪ মার্চ এবং সাধারণ ক্যাডারের ২১ এপ্রিল। সাধারণত চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশের কয়েক মাসের মধ্যেই প্রার্থীরা যোগদানের সুযোগ পান। কিন্তু এবার ফল প্রকাশের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও কেউ কাজে যোগ দিতে পারেননি।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন