[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

গুম-খুনে দায়ী সেনা-পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি

প্রকাশঃ
অ+ অ-
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন | গ্রাফিকস: পদ্মা ট্রিবিউন 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ গুম, খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত সেনা ও পুলিশ কর্মকর্তাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, কোনো ব্যক্তি, গোষ্ঠী বা প্রতিষ্ঠানই আইনের ঊর্ধ্বে নয়। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা কোনো প্রতিষ্ঠানের মর্যাদার অবমাননা নয়; বরং এটি দায়িত্বশীলতা, পেশাদারিত্ব ও গণতান্ত্রিক চরিত্রের প্রকাশ। ছাত্র ইউনিয়ন সেনা নেতৃত্ব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, অপরাধীদের তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় পূর্ণ সহযোগিতা করুন।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে সভাপতি তামজিদ হায়দার ও সাধারণ সম্পাদক শিমুল কুম্ভকার এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত সেনা, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার একাধিক সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলেও এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার কার্যকর হয়নি। একই সঙ্গে শেখ হাসিনা ও তাঁর শাসনামলের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গুম-খুন, নির্যাতন ও রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের অভিযোগে তদন্ত শুরু হলেও বিচার প্রক্রিয়া দৃশ্যমান নয়। বিলম্ব ও দীর্ঘসূত্রতা জনগণের ন্যায়বিচারের আস্থা ক্ষুণ্ণ করছে এবং দায়মুক্তির সংস্কৃতিকে দীর্ঘায়িত করছে।

ছাত্র ইউনিয়নের নেতারা আরও বলেছেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকার পরিবর্তনের আন্দোলন ছিল না; এটি ছিল অন্যায়, স্বৈরশাসন ও রাষ্ট্রীয় দমননীতির বিরুদ্ধে জনগণের ঐতিহাসিক প্রতিরোধ। সেই অভ্যুত্থানের পর জনগণ ন্যায়ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্নে একত্র হয়। কিন্তু বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের দায়ে অভিযুক্তদের বিচারে রাষ্ট্রীয় গাফিলতি সেই স্বপ্নকে বিপন্ন করছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গুম কমিশনের প্রতিবেদনে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৮০০-এর বেশি গুমের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক কর্মী, শ্রমজীবী মানুষ, নারী ও শিশুরাও রয়েছেন। সেনাবাহিনী, র‍্যাব, ডিজিএফআই, পুলিশ ও অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রচ্ছায়ায় 'আয়নাঘর'সহ গোপন বন্দিশালায় সংঘটিত এসব অপরাধ মানবতার ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই নৃশংসতায় শেখ হাসিনা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সামরিক-পুলিশ কর্মকর্তারা সরাসরি দায়ী। গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে জনগণের অভিপ্রায়ে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারও রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার বন্ধ করেনি; বরং জনগণের ন্যায্য আন্দোলন দমনে ইচ্ছাকৃতভাবে গণবিরোধী অবস্থান নিয়েছে।

একটি মন্তব্য করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন