[tenolentSC] / results=[3] / label=[ছবি] / type=[headermagazine]

ভিকারুননিসায় পাসের হার ও জিপিএ-৫ কমেছে

প্রকাশঃ
অ+ অ-
ফলাফল প্রকাশের পর অভিভাবকের আদর। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে, ঢাকা, ১৬ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় ২ হাজার ৪৩৪ শিক্ষার্থী পাস করেছেন। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২ হাজার ৪৯৫ জন, যাদের মধ্যে অকৃতকার্য হয়েছেন ৬১ জন। এতে পাশের হার হয়েছে ৯৭.৫৬ শতাংশ। গত বছর এই প্রতিষ্ঠানের পাসের হার ছিল ৯৯.০৬ শতাংশ। এ বছর জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৯৮৬ জন, যা গত বছরের ১৭৩৭ জনের থেকে কম।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেশের সব শিক্ষা বোর্ড থেকে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা তাদের ফল নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বোর্ডের ওয়েবসাইট ও এসএমএসের মাধ্যমে জানতে পারছেন। ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে সকালেই ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হয়। বেলা সাড়ে ১১টায় অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, সামগ্রিকভাবে ফলাফল মেধার ভিত্তিতে হয়েছে। সরকার চায় শিক্ষার্থীদের মেধার মূল্যায়ন হোক।

অধ্যক্ষ জানান, এ বছর এই প্রতিষ্ঠানের তিন বিভাগ থেকে মোট ২ হাজার ৫১৪ জন পরীক্ষার্থী ছিলেন, এর মধ্যে অনুপস্থিত ছিলেন ১৯ জন। অকৃতকার্য হয়েছেন ৬১ জন। জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৩৯.৫২ শতাংশ শিক্ষার্থী। তিনি আরও উল্লেখ করেন, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ‘স্কুল ওরিয়েন্টেড’ প্রতিষ্ঠান। এখানে সব শিক্ষার্থী লটারির মাধ্যমে ভর্তি হন; ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে শুধু বাছাই করা শিক্ষার্থী এখানে পড়েন না।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ হাজার ৮৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন, জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৭৯৭ জন। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩২২ জন, জিপিএ–৫ পেয়েছেন ১০৫ জন। মানবিক বিভাগের পরীক্ষার্থী ৩১৫ জন, তাদের মধ্যে জিপিএ–৫ পেয়েছেন ৮৪ জন।

বৃহস্পতিবার সকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফলাফল দেখতে উপস্থিত ছিলেন কয়েক শত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবক। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া সুলতানা জিপিএ–৫ পেয়েছেন। গণমাধ্যমের কাছে সাক্ষাৎকারে তার বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার মেয়ের এসএসসির রেজাল্টও এমনই ছিল। ওর সবচেয়ে বড় গুণ হলো, প্রতিদিনের পড়া প্রতিদিন শেষ করা। যত রাত হোক, পড়া কখনো পরের দিনের জন্য ফেলে রাখে না।’ 

ফল প্রকাশের পর দলগত সেলফি। ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজে, ঢাকা, ১৬ অক্টোবর | ছবি: পদ্মা ট্রিবিউন

মাঠজুড়ে ছিল হাসিমুখে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা। তারা শিক্ষকদের দেখে ছুটে যাচ্ছিলেন, ছবি তুলছিলেন এবং একসঙ্গে জড়ো হয়ে গণমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছিলেন। এই শিক্ষার্থীরা ১২ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানে পড়েছেন। এবার তারা ছড়িয়ে যাবেন বিভিন্ন জায়গায়। তবে ভালো রেজাল্ট করলেও যারা মেডিকেল বা বুয়েটে পড়বেন না, তাদের মধ্যে একজন বিজ্ঞান বিভাগের জিপিএ–৫ পাওয়া শিক্ষার্থী সৈয়দা সুমাইয়া আলম। তার মা বর্না চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, তার মেয়ে মা-বাবার মতো বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হতে চান এবং সেই লক্ষ্য অনুযায়ী পড়ালেখা চালিয়ে যাবেন।

তবে ভিকারুননিসার মাঠে এত আনন্দের মধ্যেও দু’একজন শিক্ষার্থীর মুখে ম্লান ভাব দেখা গেছে। শুধু অকৃতকার্য হওয়া নয়, ভালো ফলের পরও মন খারাপ থাকতে পারে। বিজ্ঞান বিভাগের জিপিএ–৫ পাওয়া নামিরা আজম এক বছর আগে ক্যানসার আক্রান্ত বাবাকে হারিয়েছেন। বাবা তাঁর ফলাফল দেখতে পারেননি। এ আনন্দের মাঝেও নামিরা মা সালমা আক্তারের হাত ধরে চুপচাপ দাঁড়িয়ে ছিলেন। নামিরা জানালেন, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য প্রস্তুতি শুরু করবেন।

Fetching live reactions...
Was this article helpful?

Comments

Comments

Loading comments…
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন